• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

অধিক খাদ্য ফলাও অভিযানের ডাক

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২১  

১৯৭৩ সালের ১৩ জানুয়ারি ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের এক সম্মেলনে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে বলা হয়, কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে জরুরি ভিত্তিতে সার ও জ্বালানি দ্রুত ও প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহের জন্য একটি কার্যকর ও বাস্তবভিত্তিক সরবরাহ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়, কৃষি বিষয়ক সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো সাপ্তাহিক পর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হয়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা করবে। উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উল্লেখ করেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতি পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য আমদানি সহজ হবে না। সুতরাং, আমাদের দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি করে অধিক খাদ্য অভিযান এই মুহূর্তে শুরু করতে হবে। কেননা, এর ওপরে নির্ভর করছে জাতির বাঁচা মরা।

সরঞ্জাম কৃষকদের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাবে

এর আগে নাটোরের উত্তরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিভাগের সরকারি কর্মকর্তাদের এক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন যে, কৃষি সরঞ্জাম কৃষকদের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে স্থানীয় সরকারি কর্মচারীদের অসুবিধার বিষয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় দুই-একদিনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধুর সেই ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ সচিবালয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

মুক্তিযোদ্ধা সম্মেলন উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২১ জানুয়ারি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করবেন বলে পত্রিকার প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে জেলা সংসদের মাধ্যমে সম্মেলনে যোগদান করতে হবে। জেলা সংসদের মাধ্যমে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেননি যারা, তাদের সম্মেলনের আগে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়।

ছাত্রলীগের বিবৃতি

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জানুয়ারি থেকে অদ্যাবধি সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা ও পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের বক্তব্য ও সঠিক তথ্য তুলে ধরে। সংগঠনের সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম এক বিবৃতিতে ছাত্রলীগের এসব কথা জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা এবং স্বাধীনতার শত্রু, সমাজতন্ত্র ও প্রগতির দুশমন গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি ও সকল প্রকার সামাজিক শত্রুর বিরুদ্ধে জনতার প্রতিরোধ আরও দুর্বার হবে বলে তারা মনে করেন। দেশে অশুভ শক্তিগুলোকে মোকাবিলার উদ্দেশ্যে যেসব রাজনৈতিক শক্তি দেশকে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দেয়, তাদের অবিলম্বে কর্ম সম্পাদনের জন্য বিবৃতিতে আবেদন জানানো হয়।

বঙ্গবন্ধুকে বিজয় দিবসের স্মরণিকা প্রদান

প্রথম বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত শোভন স্মরণিকা আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া হয়। এতে সম্পাদকমণ্ডলীর নেতৃত্ব দেন তথ্য ও বেতার মন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী।

বিপিআই’র খবরে প্রকাশ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এমন একটি শোভন ইংরেজি সংস্করণ স্মরণিকার সংখ্যা গ্রহণ করে এর সম্পাদকমণ্ডলী ও তথ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। এই স্মরণিকায় স্বাধীনতা অর্জনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসহ সব বিষয় স্থান পেয়েছিল।

 ১০ হাজার পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠাতে প্রস্তুত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ গতকাল (১২ জানুয়ারি) বলেন, ‘পাকিস্তানে আটক ১০ হাজার বাঙালির পরিবর্তে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে যেতে ইচ্ছুক ১০ হাজার পাকিস্তানিকে তাদের দেশে পাঠাতে প্রস্তুত। পাকিস্তানে আটক এসব বাঙালিকে কিছু দিন আগে তারা ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এসব বাঙালি ও পাকিস্তানিদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

দেড় মাস আগে প্রেসিডেন্ট ভুট্টো পাকিস্তানে আটক ১০ হাজার বাঙালিকে স্বদেশে ফেরত পাঠানোর যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা উল্লেখ করে বলেন, ‘যথাশিগগিরই এদের ফেরত আসার ব্যবস্থা সম্পর্কে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের কাছ থেকে কোনও জবাব পায়নি।’