• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

মেথির কত গুণ!

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৯  

মেথিকে মসলা, খাবার, পথ্য—তিনটাই বলা যায়। এটি রান্নার পাঁচ ফোড়নে বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে মেথিতে রয়েছে রক্তের চিনির মাত্রা কমানোর বিস্ময়কর শক্তি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খেলে শরীরের রোগ-জীবাণু দূর হয়। বিশেষ করে কৃমি এবং রক্তের চিনির মাত্রা কমে। 

গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়মিত মেথি খেলে তাদের ডায়াবেটিসজনিত অসুখগুলো কম হয় এবং স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মেথি হলো শ্রেষ্ঠ পথ্য। ইউনানী, কবিরাজী ও লোকজ চিকিৎসায় বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে মেথির। 

মেথির ব্যবহার ছিল ব্রোঞ্জ যুগেও। প্রাচীন সুমেরীয় ও মিশরীয় সভ্যতায় যে মেথি খাওয়া হত, তার প্রমাণ পেয়েছেন ঐতিহাসিক ও পুরাতাত্ত্বিকরা। শারীরিক সুস্থতা এবং রূপটানে মেথির উপকারিতা অসংখ্য।

এই মশলার যে অনেক গুণ আছে, তা আমাদের অনেকেরই অজানা। এবার মেথির গুণ সম্পর্কে জানা যাক...

ওজন হ্রাস
শরীরের ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই মেথি রাখুন ডায়েটে। দুই গ্লাস পরিমাণ পানিতে রাতভর ভিজিয়ে রাখুন এক চা চামচ মেথিদানা। সকালে খালি পেটে ছেঁকে নিয়ে ওই পানি পান করুন। মেদ এবং ওজন কমাতে এর জুড়ি নেই।

বদহজম ও অ্যাসিডিটি দূর
অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও ফাইবারে ভরা মেথি শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে। মেথি ভেজানো পানির পাশাপাশি রান্নাতেও মেথি দিন। পেটের সমস্যা দূর হবে।

কোলেস্টেরল কমায়
নিয়মিত মেথি খেলে শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। মেথির প্রভাবে ক্ষুদ্রান্ত্র কোলেস্টেরল গ্রহণ করে না। ফলে দেহে এলডিএল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা লাগামছাড়া হতে পারে না। গ্যালাক্টোম্যানান ছাড়াও মেথিতে আছে প্রচুর পটাসিয়াম। ফলে মেথি খেলে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে। যার ফলে কমে হৃদরোগের ঝুঁকিও।

ডায়াবেটিসে কার্যকরী
মেথিতে থাকা গ্যালাক্টোম্যানানের প্রভাবে দেহে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে না। মেথির অ্যামাইনো অ্যাসিডের জন্য অগ্ন্যাশয় থেকে উৎপাদিত ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ে। তাই ডায়াবেটিক রোগীর ডায়েটে মেথি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ঋতুস্রাবের কষ্ট হ্রাস করে
ঋতুস্রাবের সময় মহিলাদের ভেজানো মেথিদানা চিবিয়ে খেতে বলা হয়। মেথিতে থাকা যৌগ এই সময়কার পেটের যন্ত্রণায় উপশম দিতে খুবই কার্যকর।

কিডনি ভাল রাখে
মেথিদানার প্রভাবে কিডনি ভাল ভাবে কাজ করে। কিডনির কোষও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় মেথি খাওয়ায়।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
মেথির ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুব উপকারি। এক চামচ মেথিবাটা বা মেথিগুঁড়াকে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে সেটিকে ফেসিয়াল মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে।

ত্বকের দাগ দূর করে
মেথির ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে ত্বকের ছোপ ছোপ দাগ এবং বয়সের রেখা দূর করে। রাতে ভেজানো মেথি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পরের দিন সকালে একটি মিশ্রণ বানান। কিছুক্ষণ রেখে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়বে।

চুলপড়া কমায়
রাতে ভেজানো মেথিদানার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ বানান। তারপর ব্যবহার করুন হেয়ারমাস্ক হিসেবে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে চুলপড়া কমে যাবে। নারিকেল তেলে ১০ দিন ধরে মেথিদানা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ওই তেল ছেঁকে নিয়ে মাথায় মালিশ করুন। এতেও দূর হবে খুশকি ও চুলপড়ার সমস্যা।

অকালপক্বতা রোধ করে
অকালে চুল পাকার হার কমাতেও মেথি খুব কার্যকর। ভেজানো মেথিদানায় মেশান আমলার রস। গোসলের এক ঘণ্টা আগে স্ক্যাল্প ও চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন। তারপর হাল্কা শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এতে কমবে অকালপক্বতার হার।

মেথিদানার মতোই কার্যকর মেথি শাক। এই শাক শীতকালে বেশি পাওয়া যায়। খেতেও সুস্বাদু তেমনি রোগশোকও দূরে রাখে। মেথি শাক লিভার, ডায়াবেটিস, কিডনি এবং কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে বেশ উপকার করে।