• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বেড়েছে আউশ ধান আবাদ, ভালো ফলনের আশা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৩  

ময়মনসিংহ জেলায় ফলন ভালো হওয়ায় এবার আউশ ধানের আবাদ বেড়েছে। গত বছর ১৭ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল। এবার আবাদ হয়েছে ২৪ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে। হিসাবে সাত হাজার ১০ হেক্টরে আবাদ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং রোগবালাই-পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হলে ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা।

সদরের গোপালনগর গ্রামের সাইফুল ইসলাম চলতি মৌসুমে ৫২ শতক জমিতে আউশ ধান আবাদ করছেন। ফলন ভালো হওয়ায় দিনদিন আবাদের প্রতি কৃষকেরা আগ্রহী হচ্ছেন জানিয়ে সাইফুল বলেন, ‘জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকে চারা রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। এই মাসের মধ্যে রোপণ শেষ হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫২ শতক জমি চাষে ২৬০০, রোপণে শ্রমিক বাবদ খরচ ২৪০০ ও সার বাবদ খরচ হয়েছে ১৫০০ টাকা। কৃষি বিভাগ থেকে পাঁচ কেজি ব্রি-৪৮ বীজ পেয়েছি। সেইসঙ্গে ১০ কেজি ডিইপি ও ১০ কেজি ইএমওপি সার পেয়েছি। গতবারের মতো এবারও ভালো ফলনের আশায় আছি।’

গত বছর ৫০ শতক জমিতে আউশ আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছেন একই এলাকার লাল মিয়া। এই কৃষক বলেন, ‘এবার ১০০ শতক জমিতে আউশ আবাদ করছি। ইতিমধ্যে বেশিরভাগ জমিতে চারা রোপণ করেছি, বাকি জমিতে চারা রোপণ শেষপর্যায়ে আছে।’

আগে জেলায় সেভাবে আউশ আবাদ হতো না উল্লেখ করে লাল মিয়া বলেন, ‘বর্তমানে ভালো জাত উদ্ভাবন হওয়ায় আউশ আবাদের প্রতি ঝুঁকেছেন কৃষকেরা।’

সদর উপজেলার কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, ‘কয়েকদিন পরপর বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকেরা আউশ ধানের চারা স্বাভাবিকভাবে রোপণ করতে পারছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চারা রোপণের কাজ শেষ হয়ে যাবে।’

দিন দিন আউশ ধানের আবাদ বাড়ছে বলে জানালেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মতিউজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আউশ ধান আবাদে আগ্রহী করে তোলার জন্য জেলার ২৯ হাজার কৃষককে পাঁচ কেজি করে বিনামূল্যে বীজ, ১০ কেজি ডিইপি ও ১০ কেজি ইএমওপি সার দেওয়া হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ার জন্য কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।’

নানামুখী উদ্যোগের কারণে গতবারের চেয়ে চলতি মৌসুমে সাত হাজার ১০ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ বেশি হয়েছে জানিয়ে মতিউজ্জামান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ছয় হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকরা আউশ ধান রোপণ করেছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সবগুলো জমিতে চারা রোপণ শেষ হবে। আশা করছি, ফলন ভালো হবে।’