• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুরে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ “মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার,যক্ষ্মা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে  বিভিন্ন কর্ম সূচীর মাঝ দিয়ে শরীয়তপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন বে সরকারি সংগঠনের উদ্যোগে ২৪ মার্চ বুধবার বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়েছে। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের সামনে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা  ডাঃ আবদুস সোবাহান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিভির সার্জন ডাঃ এস এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর আধুনিক হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মুনির আহমেদ খান। বক্তব্য রাখেন  জেলা ইপিআই সুপারেনটেন্ডেন ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক সমির কুন্ডু,নাটাব জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এম হারুন অর রশীদ, ডেমিয়েন ফাউন্ডেশনের জেলা কর্মকর্তা রাজিব দত্ত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডাঃ এস এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন,যক্ষ্মা প্রায় যেকোনও অঙ্গে হতে পারে (ব্যতিক্রম কেবল হৃৎপি-, অগ্ন্যাশয়, ঐচ্ছিক পেশী ও থাইরয়েড গ্রন্থি)। যক্ষ্মা সবচেয়ে বেশী দেখা যায় ফুসফুসে। গরুর দুধ পাস্তুরায়ণ প্রচলনের আগে অন্ত্রেও অনেক বেশি হত।২ সপ্তাহের বেশি কাশি,জ্বর কাশির সাথে কফ এবং মাঝে মাঝে রক্ত বের হওয়া ওজন কমে যাওয়া বুকে ব্যথা, দুর্বলতা ও ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি ফুসফুসের যক্ষার প্রধান উপসর্গ।

প্রতি বছর ২৪ মার্চ যক্ষ্মা  দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মার প্রকোপ দূর করতে যক্ষ্মা দিবস  সচেতনতা সৃষ্টির সুযোগ আনে। এ দিবস  যক্ষ্মা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করে। সাম্প্রতিক সময়ে যক্ষ্মার সংক্রমণ ও যক্ষ্মারোগে মৃত্যুর ঘটনা প্রশংসনীয় হারে কমে এসেছে। ১৯৯০ সালের পর যক্ষ্মা রোগে নিহতের সংখ্যা ৪০ ভাগ কমে এসেছে। এখনও কমছে। দ্রুত যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় ও উপযুক্ত চিকিৎসার কারণে যক্ষ্মার প্রকোপ কমে আসছে। তবে এখনও যক্ষ্মা সারা বিশ্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১১ সালে সারা পৃথিবীতে প্রায় ৮৭ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছে ১৪ লাখ।

৯৫ ভাগ মৃত্যু ঘটেছে গরিব ও মধ্যআয়ের দেশসমূহে। গরিব শ্রেণির লোকেরা যক্ষ্মায় বেশি আক্রান্ত হয়েছে। তবে বায়ুবাহিত এ রোগ সব শ্রেণির মানুষের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ।১৫-৪৪ বছর বয়সি নারীদের মৃত্যুর প্রধান তিনটি কারণের একটি যক্ষ্মা।২০১১ সালে প্রায় পাঁচ লাখ শিশু যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে ৬৪ ২০১২-১৩ সাল ছিল যক্ষ্মাবিরোধী দ্বিবার্ষিক ক্যাম্পেন চালানো হয়েছিল গোটা পৃথিবীতে। ১৮৮২ সালের এই দিনে ড. রবার্ট কোচ যক্ষ্মার জীবাণু আবিষ্কার এবং এর রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের পথ উন্মোচন করেন। তাকে স্মরণ করেই এই দিনটিতে যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়ে আসছে। যক্ষ্মা এখনো বিশ্বের দশটি মৃত্যুজনিত কারণের মধ্যে অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতিদিন বিশ্বে চার হাজার মানুষ যক্ষ্মা রোগে মারা যান এবং ৩০ হাজার আক্রান্ত হন। তবে বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় ২০০০ সাল থেকে ৫৮ মিলিয়ন মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।