• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার জন্মদিন পালিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে  জতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার ৬৭তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। এই দিনকে ঘিরে জেলা আওয়ামীলীগ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ, আওয়ামী যুবলীগ,  সেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করে।

দিবসের শুরু রাত ১২টা ১ মিনিটে চৌরঙ্গীস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন সংগঠনের নেতা-কর্মীগণ। পরবর্তীতে কেক কেটে  শেখ রেহানার জন্মদিন উদযাপন করা হয়। আনন্দ উল্লাস  ও  বিভিন্ন শ্লোগানে চৌরঙ্গী এলাকা মুখরিত করে তোলেন নেতাকর্মীগণ। পরে নেতা-কর্মীগন একে অপরকে কেক ও মিষ্টি খাইয়ে দেন। 

এই সময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ শেক রেহানার ব্যক্তি ও কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করে বলেন, একজন সাধারণ মানুষের মতোই জীবনযাপন করেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। তার চালচলন সাদাসিধে একজন নারীর মতো। তিনি দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে-নিভৃতে। দিনি সংগ্রাম করে যাচ্ছেন জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে। সুযোগ্য মায়ের যোগ্য উত্তরসূরি শেখ রেহানা। মা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পর্দার অন্তরালে থেকে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন সাহস ও অনুপ্রেরণা, যার অনুপ্রেরণায় শেখ মুজিবুর রহমান হতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আর এখন পর্দার আড়রালে থেকে বড় বোন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আর তিনিই হলেন শেখ রেহানা, আজ তার ৬৭তম জন্মদিন।

বক্তারা আরও বলেন, রাজনীতি ও ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও নির্মোহ শেখ রেহানা সব সময় অন্তরালেই থেকেছেন বড় বোন শেখ হাসিনার প্রাণশক্তি হিসেবে। বাঙালির আপামর জনসাধারণের প্রিয় ‘ছোট আপা’ শেখ রেহানা ছায়া হয়ে, আলো হয়ে, পরামর্শ দিয়ে প্রতিনিয়ত আগলে রাখছেন বোন শেখ হাসিনাকে।

শেখ রেহানার সাদামাটা জীবনচরিত ও অতিথিপরায়ণতা সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। ১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ওই হত্যাকান্ডের কিছুদিন পূর্বে জার্মানিতে বেড়াতে যান দুই বোন। শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থল ছিল জার্মানি। হত্যাকান্ডের রাতে দুই বোন ছিলেন বেলজিয়ামে। নৃশংস সেই হত্যাকান্ডের পর পরিস্থিতি বদলে যায় দ্রুত। পরে জার্মানি থেকে ভারতে আসেন তারা। এরপর লন্ডনে গিয়ে বসবাস শুরু করেন শেখ রেহানা। সরাসরি রাজনীতিতে দেখা যায়নি শেখ রেহানাকে। তবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছে ‘ছোট আপা’ হিসেবে পরিচিত তিনি।

এই সময় শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জ্বল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হোসেন সরদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সহসভাপতি ফাহাদ হোসেন তপু, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুজ্জামান, শরীয়তপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোয়াজ্জেম ঢারী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।