• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুরে নারী ও শিশু উন্নয়নে সচেতনতামূলক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরে নারী ও শিশু উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম (৫ম পর্যায়) ১ম সংশোধনী শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ২০২১-২২ অর্থবছরের ১ম কিস্তি (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) পর্যন্ত জিওবি খাতের আওতায় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনদীপ ঘরাই। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামিনা ইয়াসমিন, পুলিশলাইন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মনিরুল ইসলাম। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার মনিরুল ইসলাম। কর্মশালায় সমাপনি ও সভাপতির বক্তব্য রাখেন আংগারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা: মনিরুল ইসলাম বলেন, করোনা এখন মহামারী না অতিমারী। প্রধানমন্ত্রী চায় করোনার অতিমারী থেকে জাতিকে রক্ষা করতে। তাই প্রত্যেকের জন্য টিকার ব্যবস্থা করেছেন। এখন গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মাও টিকা নিতে পারবে। টিকা গ্রহণের ছাড়পত্র ছাড়া সকলই রাষ্ট্রীয় সেবা বঞ্চিত হবে এবং কেউ বিদেশ যেতে পারবেন না। তাই বিনামূল্যের করোনা টিকা প্রত্যেকেই গ্রহণ করবেন। তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহ দিয়ে কন্যা সন্তানের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে বিকলঙ্গ শিশু জন্ম দিতে সহায়তা করবেন না। সন্তানকে স্মার্ট ফোন দিয়ে ভবিষ্যত নষ্ট করবেন না। কন্যা সন্তান সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আপনার পরিবারের সহায়ক হতে পারে। বাসা বাড়িতে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু জন্মাতে পারে। তাই বাসা বাড়িতে জমে থাকা পানি পরিস্কার করুন। ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে মায়ের বুকের দুধ ছাড়া এক ফোটা পানিও দিবেন না। গর্ভবতী মা অপুষ্টিতে ভুগলে নবজাতক শিশুও অপুষ্টিতে ভুগবে। সকল ক্ষেত্রে মায়েদের সচেতন হতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনদীপ ঘরাই বলেন, পরিবার থেকেই মাদকসেবী, ইভটিজার, নারী নির্যাতনকারী ও জঙ্গিবাদী মনোভাবের সৃষ্টি হয়। সন্তান যখন প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তখনই ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। অনেক পরিবার লজ্জায় সন্তানের সাথে ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করে না। অথচ এক পর্যায়ে বন্ধুদের কাছ থেকে ক্ষতিকর দিকগুলো খারাপভাবে গ্রহণ করে। সন্তানকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিবারিক শিক্ষার বিকল্প নাই। কোন ধর্মই সহিংসতা শিক্ষা দেয় না। সঠিক ধর্মিয় শিক্ষায় শিক্ষিত সন্তান কখনো জঙ্গিবাদ বিশ্বাস করে না। নারী নির্যাতন করতে পারে না। আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করলেই দেশপ্রেম হবে।