• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ মানবসম্পদ উন্নয়ন: পুলিশ সুপার 

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তবে  বলেছেন,আমাদের দেশ বিভিন্ন দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

জাতির পিতা আমাদের দেশের শিক্ষা কে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বৈজ্ঞানিক শিক্ষা প্রর্বতনের জন্য কুদরতই হুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করে ছিলেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন শিক্ষা হচ্ছে মানব সম্পদ উন্নয়নের চালিকা শক্তি।

পুলিশ সুপার বলেন,১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোবর ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনের ১৪তম অধিবেশনে ৮ সেপ্টেম্বর তারিখকে “আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস” হিসেবে ঘোষণা করা হয়।  করোনা দূর্যোগের কারনে এ বছর দিরসটি উপলক্ষে আজ আমরা আলোচনাসভা করছি। তিনি শিক্ষা আত্মস্থ করার পরিবর্তে জীবনমান উন্নয়ন ও কর্মে পরিনত করার জন্য শিক্ষা গ্রহন করার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেন।

জেলা শিক্ষা বিভাগ গণস্বাক্ষরতা অভিযান ও সোডেপের যৌথ উদ্যোগে শরীয়তপুর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে  জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ এমারত হোসেন এর সভাপতিতেত্ব আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে। বে সরকারি উন্নয়ন সংগঠন সোডেপ এর নির্বাহী পরিচালক শামীম খন্দকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজ সেবার রেজিষ্টেশন অফিসার মোঃ উজ্জল মুন্সী,অধ্যক্ষ মাওলানা মিজানুর রহমান,জেলা ব্র্যাক প্রতিনিদি সমীর কুন্ডু,সাবেক চেয়ারম্যান মাসুক আলী দেওয়ান বক্তব্য রাখেন।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, পৃথিবীর প্রায় ৭৭৫ মিলিয়ন অধিবাসীর ন্যূনতম প্রয়োজনীয় অক্ষরজ্ঞানের অভাব রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি পাঁচ জনে একজন এখনও শিক্ষিত নন এবং এই জনগোষ্ঠীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই নারী।বিশ্বের প্রায় ৬০.৭ মিলিয়ন শিশু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত এবং আরও অনেকের শিক্ষায় অনিয়মিত বা শিক্ষা সমাপ্ত হওয়ার আগেই ঝরে পড়ে। সে দিক দেকে বাংলাদেশের অবস্থা অনেক উন্নত। আর এ উন্নয়নের পিছনে কাজ করেছে জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার দূরদর্শি চিন্তা ও চেতনা। জাতির পিতা প্রথমিত শিক্ষাকে জাতিয় করণ করে ছিলেন। তার ই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরবর্তিতে সকল প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতিয় করণের পাশাপাশি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের শতভার বেতন সরকারি করনের পাশাপশি প্রতি উপজেলায় একটি কলেজ একটি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি করে বালিকা বিদ্যালয়কে  জাতিয় করন করেছেন। বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া ডিগ্রি পর্যন্ত ছাত্রীদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ্য বাড়িয়েছেন।