• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুরে বিশ্ব রেডক্রিসেন্ট ও রেডক্রস দিবস পালিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৮ মে ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি ঃ
৮ মে (রবিবার) সারা দেশের ন্যায় শরীয়তপুরেও বিশ্ব রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯ টায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির শরীয়তপুর জেলা কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মাঝ দিয়ে দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়। এর পরে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সকাল ১০ টায় রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির শরীয়তপুর জেলা কার্যালয়ের সামনে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। জেলা কার্যালয় মিলনায়তনে জেলা কমিটির সিনিয়র সদস্য ও জেলা আওয়ামীলী সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে এর সভাপতিত্বে ও জেলা কমিটির সম্পাদক এ্যাড. আলহাজ্ব আলমগীর হোসেন মুন্সীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা শাখার সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জল, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামিনা ইয়াসমিন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুহুন মাদবর। 

সভায় আলোচকগণ বলেন, ১৮২৮ সালের এই দিনে রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্টের প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ডুনান্টকে স্মরণ করার জন্য প্রতি বছর তার জন্মদিনকে বিশ্ব রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিও বিশ্বের অন্যান্য জাতীয় সোসাইটির ন্যায় যথাযথ গুরুত্ব ও মর্যাদা সহকারে দিবসটি পালন করছে। এবারের বিশ্ব রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট দিবসের থিম ‘মানবিক হও’। 

সভাপতির বক্তব্যে অনল কুমার দে বলেন, হেনরি ডুনান্ট এর আর্দশে সারা পৃথিবীতে আজ লক্ষ কোটি হেনরি ডুনান্ট জন্ম নিয়েছে। করোনা মহামারির শুরু থেকেই আমাদের দেশে হাজার হাজার নতুন স্বেচ্ছাসেবক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট আন্দোলনের সঙ্গে একত্রিত হয়েছেন। সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নিজের পাশের বাসায় থাকা মানুষটির জরুরি প্রয়োজনে বা এলাকাবাসীর সাহায্যে। সবাই মিলে একত্রিত থেকে মোকাবিলা করছেন করোনাকালীন সময়কে। আমার দেখা মতে শরীয়তপুরের হেনরি ডুনান্ট হচ্ছেন আমাদের প্রিয়নেতা সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। তিনি বলেন, একই সঙ্গে অন্যান্য দুযোর্গকালীন (যেমন-বাংলাদেশের ক্ষেত্রে গতবছরে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, বন্যা) সময়ে নিজ নিজ এলাকার জনগোষ্ঠীর পাশে থেকেছেন। যখন যেভাবে পেরেছেন, নিঃস্বার্থ ভাবে তিনি তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ১৯৭৩ সালের ৩১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি আদেশে ১৯৭৩ (পিও-২৬) জারি করেন। এই আদেশের বলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ‘বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি’ স্বীকৃতি লাভ করে। এরপর, ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রেডক্রসের ২২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তেহরানে বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি আন্তর্জাতিক ভাবে পূর্ণ স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৮৮ সালে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি’ রাখা হয়।

সাধারণ সম্পাদক এ্যাড আলমগীর হোসেন মুন্সী বলেন, রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা ১৯২ টিরও বেশি দেশে কাজ করে যাচ্ছেন। বড় শহরগুলো থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকার মানুষদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন নানা ধরনের মানবিক সহায়তা। সেই সঙ্গে মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে মানবতার শক্তি অবিরাম, অপ্রতিরোধ্য। আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট আন্দোলন মানবিক সেবার সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক, যার আওতায় লক্ষ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবী ও কর্মী বিশ্বব্যাপী একসাথে কাজ করে চলেছেন মানবতার মহান ব্রত নিয়ে। এই আন্দোলনের মৌলিক নীতিমালার ব্যাপকতা যেকোনো ভৌগলিক সীমারেখা, সাংস্কৃতিক আচার ও ধর্মীয় অনুশাসনের ঊর্ধ্বে। রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য দুর্যোগ ও সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদান।