• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

পদ্মা সেতু বাংলাদেশ ও জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গৌরবের প্রতীক

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি :

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশ ও জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গৌরবের প্রতীক। তিনি প্রমাণ করেছেন সততা, স্বচ্ছতা, সাহসিকতা ও দেশপ্রেম থাকলে অসাধ্যকেও সাধন করা যায়। আর পদ্মা সেতু তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। শত ষড়যন্ত্র ও প্রতিকূলতা অতিক্রম করে পদ্মা সেতু আজ গৌরবের প্রতিচ্ছবি হয়ে দাড়িয়ে আছে পদ্মার বুকে। যা আগামী ২৫ জুন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

আজ সোমবার বিকেল ৫টায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচী বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক মতবিনিমিয় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন। 

উপমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল সহ সারা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির এক উজ্জ্বল মাইলফলক। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে শত বাধা ও দেশি বিদেশি চক্রান্ত উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছেন। 

আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, পঁচিশে জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের মিলনমেলা এবং উৎসবের জনশ্রত হবে পদ্মা পাড়ে। এই উৎফুল্ল জনশ্রুত জাতীয় আনন্দে রুপ দেয়া আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে সব শ্রেণি পেশার মানুষ হাজির হবেন পদ্মা পাড়ে। কারণ শেষ পর্যন্ত বাঙালির স্বপ্নের মিনার-পদ্মা সেতু চালু হতে যাচ্ছে। এটি নিশ্চয়ই নিছক স্টিলের কোনো কাঠামো নয়, পদ্মা সেতু আমাদের আবেগের নাম। জাতীয় অহংকার ও সাহসের আরেক নাম। সক্ষমতার প্রতীক। বিপুল আগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষ দুই চোখ ভরে আমাদের আত্মশক্তির এ প্রতীকটি দেখছে।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুইজনই দক্ষিণ বাংলার মানুষ। বাবার মতোই বঙ্গবন্ধুকন্যাও এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট বোঝেন। তাই ২০০১ সালের ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে মাওয়া ফেরিঘাটের কাছেই এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু সেতুটির নির্মাণকাজ থমকে যায় বিএনপির রাজনৈতিক হীনম্মন্যতার কারণে। অথচ দলটির নেতারা পাগলের প্রলাপ করছেন। 

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সরকার গঠনের পর তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণকে জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে অগ্রাধিকার তালিকায় নিয়ে আসেন। শুরুতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাইকা, আইডিবি এ সেতুর অর্থায়নের অংশীদার হলেও পরবর্তী পর্যায়ে বিশ্বব্যাংক যুক্ত হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণেও এ উন্নয়ন অংশীদাররা যুক্ত ছিল। কিন্তু মিথ্যা অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়ায়। এখানে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কাজ করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা মাথা নিচু করেননি। তিনি প্রথমেই বলেছিলেন, পদ্মা সেতু মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। পরে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সরে শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর ঘোষণা দেন। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুরকন্যা শেখ হাসিনাও বঙ্গবন্ধুর মতো একজন ভিশনারি লিডার। তিনি পদ্মা নদীর ওপর সেতুর শুধু স্বপ্নই দেখেননি তার বাস্ত দেখতে চেয়েছিলেন। সে স্বপ্ন এখন বাস্তব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা নির্মাণ করে শেখ হাসিনা বিশ্বের বুকে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। তিনি সক্ষমতার প্রতীক সেটা প্রমাণ দিয়েছেন। 

মতবিনিময় সবার সভাপতি জেলা প্রশাসক মো: পারভেজ হাসান পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে তিন দিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচী সফল করতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধ সহ সকল সরকারি দপ্তরের প্রধানগনের সাথে মতবিনিময় করে পরামর্শ গ্রহণ করেন। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে আলোক সজ্জা, সড়কবাতি প্রজ্জ্বলন, আনন্দ শোভাযাত্রা, কনসার্ট, পদ্মা সেতু সংক্রান্ত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন সহ নানা আয়োজন।

সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমা সরকারি কলেজ শরীয়তপুরের অধ্যক্ষ প্রফেসর হারুর অর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে,  সিভিল সার্জন এস এম আব্দুল্লাহ-আল-মুরাদ, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান জন, অতিরিক্ত পুলিশ আবু সাইদ, গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ঢালী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন প্রমুখ।