• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

পদ্মা সেতু: ৮০ হাজারের বেশি মানুষকে ক্ষতিপূরণ-পুনর্বাসন

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২২  

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজার ৫৯৩ পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ৮০ হাজারের বেশি মানুষকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও পুনর্বাসনের আওতায় আনা হয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে সম্পন্ন করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনও নিশ্চিত করা হয়েছে সর্বোচ্চ মানদণ্ড মেনে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২৫ জুন) বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। সেতুটি রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। পদ্মা সেতু প্রকল্প মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা আওতাধীন। সেতুর উত্তর প্রান্তে মাওয়া, লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ এবং দক্ষিণ প্রান্তে জাজিরা, শরীয়তপুর ও শিবচর, মাদারীপুর।

ভূমি মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর এবং শরীয়তপুর জেলায় মোট ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৬৯৩ হেক্টর এবং বরাদ্দ প্রায় ২ হাজার ৬৯৮ হেক্টর। জমি অধিগ্রহণ, বন্দোবস্ত ও হুকুমদখলের জন্য ৩ হাজার ৪৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় ১০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ, বন্দোবস্ত ও হুকুমদখলের জন্য ব্যয় হয়।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনা, পুনর্বাসন কর্মপরিকল্পনা, পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ২০০৬ সালে সম্পন্ন করা হয়। ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হয় ২০০৯ সালে। এ প্রকল্পের অধিগ্রহণের জন্য ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প (ভূমি অধিগ্রহণ) আইন, ২০০৯’ করা হয়।

পদ্মা নদীর দুই প্রান্তে আধুনিক নাগরিক সুবিধা সম্বলিত (মসজিদ, বিদ্যালয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইত্যাদি সহ) সাতটি পুনর্বাসন সাইটে মোট ৩ হাজার ১৪টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১০০টি বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যারা জমি বাবদ ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন, তাদের পুনর্বাসন সাইটের অধিগ্রহণের সময়ের দামে জমি কিনতে হয়েছে। আর যারা জমি বাবদ টাকা পাননি, তাদের প্লট দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে।

ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেককেই ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন সহায়তা এবং ক্ষেত্র বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জীবনধারণের জন্য দেওয়া হয়েছে ইলেক্ট্রনিকস, টেইলরিং, মাছচাষ, হাঁস-মুরগি পালন, গরু-ছাগল পালন, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ড্রাইভিং, ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রশিক্ষণসহ নানা ধরনের প্রশিক্ষণ। জমির মূল্য ছাড়া বিভিন্ন সহায়তা বাবদ অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রায় ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সরকার। সরকারের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার সাহায্যে পদ্মা সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য এসব সহায়তা নিশ্চিত করে বলেও জানায় ভূমি মন্ত্রণালয়।