• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুর-ঢাকা ৪ লেন সড়কের জমির মালিকদের সাথে মতবিনিময়

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুর-জাজিরা-নাওডোবা (পদ্মাসেতু এপ্রোচ) সড়কের “আর-৮৬৯, আর ৮৬৩” উন্নয়ন প্রকল্পের ভূমিসেবা সহজী করণ ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিবর্গের ক্ষতিপুরণ প্রদান সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ ও সমস্যা সমাধানের লক্ষে মতবিনিময় সভা ও গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। নড়িয়া উপজেলার প্রশাসন ইউনিয়নের মাঝির হাট মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করনে জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহেল, জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূইয়া রেদোয়ানুর রহমান, নড়িয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি), ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ দেলোযার হোসেন তালুকদার। এসময় জেলা এল এ শাখার সার্ভেয়ার মোঃ বাদল মিয়া ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারি মোঃ শাহ আলম চৌকিদারসহ অশিংজনেরা উপস্তিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান বলেন, ইদানিং শরীয়তপুর-জাজিরা-নাওডোবা (পদ্মা সেতু এপ্রোচ) সড়ক এবং মনোহর বাজার-ইব্রাহিমপুর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সম্মানিত শরীয়তপুরবাসীর মধ্যে প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা এটিকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে গণ্য করছি। উল্লিখিত দুটি উন্নয়ন প্রকল্প ১১ মার্চ, ২০২০ সালে একনেকে অনুমোদিত হয় এবং প্রত্যাশী সংস্থা (সড়ক বিভাগ) হতে ভূমি অধিগ্রহণের সর্বশেষ প্রস্তাব পাওয়া যায় ৯ মে ২০২১ তারিখে। ইতোমধ্যে বর্ণিত প্রকল্পের আওতায় সৃজিত ৪০টি এলএ কেসে ৪ ধারার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে যৌথ তদন্ত সম্পন্ন করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজের জন্য প্রত্যাশী সংস্থাকে (সড়ক বিভাগ) বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।  আরও প্রায় ১৩ কিলোমিটার সড়কের ভূমি অধিগ্রহণপূর্বক আগামী ১ মাসের মধ্যে বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হবে। সে লক্ষ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

সড়ক বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নযোগ্য এই প্রকল্পটির ভূমি অধিগ্রহণের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসন, সম্মানিত সংসদ সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণের সাথে একযোগে একই আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যে কোন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক গুলো অংশীজন থাকে, যুক্তিসঙ্গত কারণেই সময় প্রয়োজন। এছাড়াও জমি অধিগ্রহণের কাজটি অনেকগুলো ধাপে সম্পন্ন হয় এবং প্রতিটি ধাপে আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়সীমা পার করতে হয়। সবদিক বিবেচনায় এ প্রকল্প দুটিতে ভূমি অধিগ্রহণ কাজ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্পন্নকরণে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।