• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে শরীয়তপুরে চাল পাবে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৬৮ পরিবার

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি মূল্যস্ফীতির কারণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত চালের মূল্য সহনিয় পর্যায় রাখার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এঁর নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় শরীয়তপুর জেলায়ও ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ টাকা ও ৩০ টাকা দরে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৬৮ পরিবারের মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় চাল বিতরণ করা হবে। ৩১ আগস্ট বুধবার শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং কালে জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান জেলার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফ উদ্দিন গিয়াস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনদীপ ঘরাই, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ নুরুল হক, এনডিসি অভিজিৎ সূত্রধর উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, সারাদেশে ওএমএস ডিলার সংখ্যা প্রায় ৩ গুন বাড়িয়ে ২ হাজার ৩৬৩ করা হয়েছে। ওএমএস ডিলার প্রতি ১ মেট্রিক টন চালের পরিবর্তে ২ মেট্রিকটন বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ওএমএস এর মাধ্যমে বিতরণ করা প্রতি কেজি চালের মুল্য হবে ৩০ টাকা। ওএমএস কার্যক্রমে টিসিবি’র কার্ডধারীদের সমন্বয় করে খাদ্যশষ্য বিতরণের লক্ষে চাল বিক্রয় করার জন্য ক্রেতাদের পৃথক ২টি লাইন থাকবে। টিসিবির কার্ডধারীরা এক পাশে সাধারণ ক্রেতা আর এক পাশে দাঁড়াবে। ওএমএস কেন্দ্রে টিসিবির কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। টিসিবির কার্ড দেখিয়ে টিসিবির কার্ডধারীরা আর জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে সাধারণ ক্রেতারা ৫ কেজি করে ২ বার চাল কিনতে পারবেন। একই ব্যক্তি যেন বার বার চাল কিনতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা হবে। খাদ্যবান্দব কর্মসুচীতে ডিজিটাল ডিভাইজ ব্যবহার করে সুবিধাভোগী প্রতি পরিবারকে স্মাট কার্ডের মাধ্যমে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে একবার ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবেন।

শরীয়তপুর জেলায় বিগত বারের ন্যায় ওএমএস কর্মসূচীতে সর্বমোট ৬৬ হাজার ৩৩ জন চাল ক্রয় করতে পারবেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩ হাজার ৫৩০ জন, জাজিরা উপজেলায় ১০ হাজার ৮৮৯ জন, নড়িয়া উপজেলায় ১১ হাজার ৯৬৫ জন, ডামুড্যা উপজেলায় ৫ হাজার ৬৮১ জন . ভেদরগঞ্জে ১৩ হাজার ৪৬২ জন,  গোসাইরহাট উপজেলায় ১০ হাজার ৫০৬ জন। তবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিজিটাল ডিভাইজ ব্যবহার করে সুবিধাভোগী ৩৮ হাজার ৩৫টি পরিবার আগামী ৩ মাসের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবেন। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য টিসিবির ৩৮ জন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ১০৪ জন ও ওএমএস বাস্তবায়নের জন্য ২১ ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে জেলা প্রশাসক জানান, এ কর্মসূচির কার্যক্রম তদারকির জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ডিলারের কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক তদারিক কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ জেলা ব্যাপী এ চাল বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হবে। শরীয়তপুর জেলা সদরের ধানুকাস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের সামনে থেকে কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হবে। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসবে বলে জেলা প্রশাসক আশাবাদ ব্যক্তি করেন। তিনি বলেন, মিলে আমরা এ কার্যক্রমকে সার্থক ভাবে সফতার সাথে সম্পন্ন করবো। এব্যাপারে টিম ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সার্বিক সহযোগিতা তিনি কামনা করেন। এসময় জেলায় কর্মরত প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।