• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন পালন

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  

নানা আয়োজনে শরীয়তপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র ৭৬তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত বারোটা এক মিনিটে শরীয়তপুর শহরের চৌরঙ্গীস্থ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন শেষে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কেটে জন্মদিন পালন শুরু করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জ্বল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড জাহাঙ্গীর হোসেন সহ জেলা আওয়ামী লীগ যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ ছাত্রলীগ সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শহরকে আলোক সজ্জায় সুসজ্জিত করন করা হয়।  দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

 জেলা শহর ছাড়াও সকল উপজেলায় আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।

শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বলেন,

বঙ্গবন্ধু’র বীরকন্যা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, বাঙালির আশার বাতিঘর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ঘর আলোকিত করেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে আমরা হারিয়েছি। সেই হারানোর অপূর্ণতা এই দেশ এই জাতি কখনো পূরণ করতে পারবে না। কিন্তু তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে ১৭ কোটি বাঙালির অভিভাবক হিসেবে তাকে সামনে রেখেই আমরা পথ চলছি সফলতার সাথে।

দেশ আজ তার হাত ধরে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিদেশীরা এখন বিনিয়োগের জন্য আমাদের পেছনে ঘুরছে। কারণ তিনি বাংলাদেশকে সেই সক্ষমতার জায়গায় নিয়ে গেছেন। বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে পদ্মা সেতু নির্মাণে যে অসীম সাহসিকতা দেখিয়েছেন তাতে বিশ্বনেতারা আজ হতবাক। দেশের মানুষ যা স্বপ্নেও ভাবেনি- নদীর নিচে বঙ্গবন্ধু টানেল হবে এই বাংলাদেশে। অথচ আপনার হাত ধরে তা আজ বাস্তবায়নের পথে। শিক্ষা এবং চিকিৎসায় দেশ এগিয়েছে অনেক দূর। বিনামূল্যে শিক্ষা তথা অবৈতনিক শিক্ষা আজ বুলি নয়, বাস্তবতা। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল। কমেছে মাতৃমৃত্যুর হার। বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু। ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খুলে কৃষকের জন্য খুলে দিয়েছেন এক নতুন জগত। মোবাইল ফোনকে এত সহজলভ্য করেছেন যে, ফসলের মাঠ থেকেই কৃষক জানতে পারে ফসলের মূল্য। ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য থেকে কৃষক আজ মুক্ত। ডিজিটাল টাকা যা ছিলো শুধু উচ্চবিত্তদের এটিএম কার্ডে, আজ তা মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে মোবাইল ব্যাংকিং এর কল্যাণে।

উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে মহাকাশেও চলছে দেশের জয়যাত্রা আপনারই হাত ধরে। আমাদের গর্ব আমাদের অহংকার ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ এর সাহায্য নিচ্ছে অন্যান্য অনেক দেশ। শুধু কি তাই! বিশাল সমুদ্রের নিরাপত্তায় মাথা উঁচু করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দু দুটো সাবমেরিন। সেই হেনরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে বাংলাদেশ আজ ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার আশ্রয়দাতা। শুধু তাই নয়, তাদের অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসারও জোগানদাতা এই বাংলাদেশ। তাই তিনি মাদার অব হিউমিনিটি। সরকারি অর্থায়নে পাকাঘরসহ বাড়ি দিচ্ছেন ভূমিহীনদের। যা বিশ্বের নতুন নজির। তবে উন্নয়নের এই মহাসড়কের যাত্রাটা সব সময় কুসুমাস্তীর্ণ ছিলো না। এসেছে অনেক বাধা, অনেক বিপত্তি। এসব বাধ-বিপত্তিকে আপনি গুড়িয়ে দিয়েছেন, গুড়িয়ে দিচ্ছেন অদম্য সাহসিকতায়। পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলো বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত করার। আপনি সেই ষড়যন্ত্রের মুখে কুঠারাঘাত করেছেন। জঙ্গির বংশকে করেছেন সমূলে নির্মূল।

রূপকথাকেও হার মানায় বঙ্গবন্ধুকন্যার জীবনগাথা। গল্পের দুঃখিনী রাজকন্যার দুঃখকষ্ট, রোমাঞ্চকর নানা ঘটনাও যেন ম্লান তাঁর জীবনকাহিনীর কাছে। তাঁর মা-বাবা, ভাইসহ নিকটাত্মীয়দের একই দিনে হত্যা করা হয়। নিজেও হত্যাচেষ্টার মুখোমুখি হয়েছেন ২১ বার। খুব কাছ থেকে প্রিয় সহকর্মীদের মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেছেন। অবৈধ শাসকের বিরোধিতা করতে গিয়ে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার এক নিভৃত পল্লী থেকে উঠে এসে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করেছিলেন পরাধীনতা থেকে, বাঙালিকে এনে দিয়েছিলেন একটি স্বাধীন দেশ। অথচ পিতার মৃত্যুর পর দীর্ঘ সময় সেই দেশে তিনি ফিরতে পারেননি। তাঁকে প্রতিবেশী একটি দেশে আশ্রিত জীবন যাপন করতে হয়েছে। এমন অসংখ্য ঘটনার অভিজ্ঞতায় পূর্ণ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ বছরের জীবন।