• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ভেদরগঞ্জে ২৫৯৮ জনের মাঝে প্রনোদনার বীজ-সার বিতরণ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জায়গা ব্যবহারের লক্ষ্যে এবং নতুন জাত সম্প্রসারণের মাধ্যমে  ফলন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে শরীয়তপুরের  ভেদরগঞ্জ উপজেলায়  ২০২২-২৩  অর্থবছরে  রবি মৌসুমে  ২৫৯৮ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে উফশী  জাতের  সরিষা, খেসারি, মুগ, পেয়াজ, মসুর, সূর্যমুখী, ভূট্টা, গম  বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।  তারই অংশ  ১৬ নভেম্বর (বুধবার)  ১২.টা ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ৪টি ফসলের সরিষা( ১৪০০ জন),মসুর( ৭০ জন), খেসারি(৭০) জন এবং ৩০ জন কৃষককে পেয়াজ বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এ ছারাও ৬৫০ জনের মাঝে গম,২০০ জনের মাঝে ভূট্রা ও ২০ জনের মাঝে সূর্যমুখির বীজ ও সার বিতরণ করা হবে।
 উপজেলা কৃষি অফিসারের নতুন কার্যালয় মাঠে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম  এর সভাপতিত্বে  

উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত বিতরণ  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, অন্যান্য দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার কায়সার আহম্মেদ রানা, মামুনুর রশিদ হাসিব, আবু হানিফসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসারগন উপস্থিত ছিলেন।
পৌর কাউন্সিলর গন, ইউপি সদস্য বৃন্দ,  ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ, সহ কৃষক কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।

এই বার  প্রণোদনা কর্মসূচিতে প্রতিজন কৃষক  সরিষার জন্যে ১ কেজি  বীজ,  ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০  কেজি  করে এমওপি সার পাচ্ছেন, খেসারির জন্যে ৮  কেজি বীজ,  ১০ কেজি ডিএপি,  ৫ কেজি এমওপি সার, পেয়াজের জন্যে প্রতিজন কৃষক ১ কেজি বীজ,  ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার,  মসুর এর জন্যে ৫ কেজি বীজ,  ১০ কেজি ডিএপি এবং ৫ কেজি এমওপি সার পাবেন  যাতে করে এক বিঘা জমিতে আবাদ করতে পারেন।।  প্রণোদনা কর্মসূচির বিতরণ উপলক্ষে বক্তরা  কৃষি বান্ধব সরকারের কৃষি উন্নয়নে নানাবিধ কর্মসূচির ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগের প্রশাংসা করে কৃষক কে অধিক পরিমাণে ফলনে আন্তরিক ভাবে  কাজ করার আহবান জানান।

 প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,জাতির পিতার কন্য কৃষি বান্দব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এখনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। অনেক ধরনের প্রতিকূলতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেও বাংলাদেশ বিগত ৫০ বছরে খাদ্য উৎপাদনে দৃষ্টান্তমূলক অগ্রগতি অর্জন করেছে। আর ভবিষ্যৎ ঝুকি মোকাবেলায় আমাদের সামনে সম্ভনার হচ্ছে কৃষি। তাইতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতি ইঞ্চি জমিকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ও আমাদের জেলাপ্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান স্যারের নেতৃত্বে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছি।ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদার বিপরীতে জিডিপিতে যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের কৃষি তা একটা বিশ্ব অঙ্গনে বড় অর্জন।

অন্যান্য দেশের তুলনায় মোট জমি কম হলেও সম্প্রতি কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব পর্যায়ে ধান, পাট, কাঁঠাল, আম, পেয়ারা, আলু, সবজি ও মাছ উৎপাদনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে ৩য়, পাট উৎপাদনে ২য়, পাট রপ্তানিতে ১ম, সবজি উৎপাদনে ৩য়, আলু ও আম
এ দেশে কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। কৃষিবান্ধব নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশ এখন দানাশস্য, সবজি, মাছ ও মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সারা বছর এখন শাকসবজি ফলমূল যে কোন মানুষের জন্য সহজলভ্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী দিকনির্দেশনায় এবং  কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী কৃষিবিদ ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি মহোদয়ের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল দপ্তর-সংস্থা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারছে বিধায় দেশে এখন খাদ্য নিরাপত্তা বিরাজমান।