গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৭

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর সদর উপজেলায় মুক চেপে ধরে রুমে নিয়ে এক গার্মেন্টস কর্মীকে পালাক্রমে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে ভুক্তভোগী গার্মেন্টসকর্মীর বাবা বাদী হয়ে থানায় ৭জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে ওই ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার রুদ্রকর  ইউনিয়নের দক্ষিণ চরোসুন্দি এলাকার জুয়েল ফরাজী (২৪), সুমন বয়াতী (১৮), ইয়াসিন বয়াতী (৩৮), শাহিন সরদার (৩০), খোকন সরদার (৩৩), রাসেল সরদার (২৬) ও মিজান ঢালী (৪৫)। এর মধ্যে জুয়েল ও সুমনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও বাকিদের  বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা অভিযোগ করা হয়।

পুলিশ, মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে গার্মেন্টসে চাকরি করেন তরুণী। তবে ওই তরুণীর বাড়ি শরীয়তপুর সদরের রুদ্রকর ইউনিয়নে। মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে আসলে অভিযুক্ত জুয়েল তাঁকে প্রায় প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। ওই তরুণী ও তাঁর বান্ধবী ঈদে বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই তরুণী  ও তাঁর বান্ধবী ঘর থেকে বাহির হলে পূর্বে ওঁৎপেতে থাকা জুয়েল, সুমন, ইয়াসিন, শাহিন, খোকন, রাসেল ও মিজান মিলে তাদেরকে মুখ চেপে ধরে পাশের একটি ভবনের রুমে নিয়ে যান। এরপর বান্ধবীকে একটি রুমে আটকে রেখে জুয়েল ও সুমন মিলে ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। তখন ভবনের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে পাহারা দেন ইয়াসিন, শাহিন, খোকন, রাসেল ও মিজান। ধর্ষণের পর অভিযোগকারীরা সেখান থেকে চলে যান। পরে জানতে পেরে ওই তরুণীর পরিবার তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী জানান, জুয়েল ওই তরুণীকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিত। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় জুয়েল। তাই রাতে ঘর থেকে বের হলে জুয়েল তাঁর সঙ্গীরা তরুণী ও তাঁর বান্ধবীকে মুখ চেপে পাশের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে বান্ধবীকে একটি রুমে আটকে রাখে। আর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে জুয়েল ও সুমন। আর অন্যরা সহযোগিতা করে। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে ওই তরুণী।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন বলেন, ওই ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া সদর হাসপাতালে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আসামিদেরও আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।