• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

এটা তো দুর্নীতির জন্য হয়নি, এটা কারা করল?

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে গৃহহীনদের বিনামূল্যে দেওয়া আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর হাতুড়ি শাবল দিয়ে ভেঙে ফেলে মিডিয়াতে অপপ্রচারের অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩০০টি স্থানের ঘরের দরজা জানালায় হাতুড়ি-শাবলের আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। সেসব ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি ঘরের ছবি তার হাতে এসেছে। এসব জায়গায় দুর্নীতি হয়নি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের সভায় নিজের বক্তব্যে এসব তথ্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত কম করে হলেও ১০ লাখ মানুষকে আমি ঘর তৈরি করে দিয়েছি। এবারের আশ্রয়ণ নিয়ে আমরা তদন্ত করেছি। সেখানে ৯টি জায়গায় দুর্নীতি পেয়েছি আমরা। আর ১০-১২টা স্থানে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে মাটি ধসে ঘরগুলো পড়ে গেছে। আর প্রায় ৩০০টি স্থানের প্রতিটি ঘরের ছবি আমার কাছে। সেখানে তদন্তে দেখা গেছে, ঘরের দরজা জানালায় হাতুড়ি-শাবলের আঘাত। ফ্লোরগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ইটের গাঁথুনি ও পিলার ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এটা তো দুর্নীতির জন্য হয়নি। এটা কারা করল?’

ইতোম্যধ্যে এ নাশকতাকারীদের খোঁজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তে নেমেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো তদন্তের পর গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কেন তদন্ত বন্ধ করে দিল - সে প্রশ্ন তুলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমার প্রশ্ন দুদক কেন তাদের তদন্ত বন্ধ করে দেবে? তদন্ত বন্ধ করার কথা না, তাদের সেটা চালু রাখতে হবে। তাদের জানাতে হবে যার ঘরগুলো ভাঙল তারা কারা? তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল?’

দুদককে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন সংসদ সদস্যের কাছ থেকে জানলাম, দুদক বলেছে, আমরা তদন্ত করব কী, প্রধানমন্ত্রী যখন এ কথা বলেছেন! তো যে বা যারা ভেঙেছে তাদেরও নিশ্চয়ই কোনো উদ্দেশ্য ছিল। এখানে দুদকের কর্মকর্তাদের এমন কথা বলার কথা না। এখন আমি বলব, দুদকের যে কর্মকর্তা এটা বলেছে এবার তার ব্যাপারে খোঁজ আমরা নেব। আমি দুদককে বলব, যে ৩০০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রতিটা ঘরের বিষয়ে তদন্ত করতে হবে এবং রিপোর্ট দিতে হবে। অবশ্যই দিতে হবে। গরিবদের জন্য ঘর করে দেব আর সেখান থেকে দুর্নীতি করে টাকা মেরে খাবে সেটা মানতে আমি রাজি না।’ 

আশ্রয়ণের ঘর যেন আর ভাঙতে না পারে সেজন্য আরো মজবুত করে ঘর নির্মাণের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা ঠিক করেছি। এখন কংক্রিটের পিলার এবং স্টিলের ফ্রেম দিয়ে ঘরে করে দেব, যাদে চট করে ভেঙে ফেলতে না পারে।’   

যদি জানতাম আজ প্রশ্ন উঠবে তো ছবিগুলো সঙ্গে করে নিয়ে আসতাম। আগামী সভায় নিয়ে আসব।