• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

কুমিল্লার ঘটনা দুঃখজনক, অপরাধীর বিচার হবে: প্রধানমন্ত্রী

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২১  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ সম্মানের সঙ্গে যুগের পর যুগ বসবাস করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে সব ধর্মের মানুষ রক্ত দিয়েছে। পবিত্র কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় অপরাধী যে-ই হোক না কেন তার বিচার করা হবে।’

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) কুমিল্লা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘মানবধর্মকে সম্মান করা ইসলাম আমাদের শেখায়। নিজের ধর্ম পালনের অধিকার যেমন সবার আছে। অন্যের ধর্মকে কেউ হেয় করতে পারে না। নিজের ধর্মকে সম্মান করার সঙ্গে সঙ্গে অন্যের ধর্মকেও সম্মান করতে হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্যের ধর্মকে হেয় করলে নিজের ধর্মকেই অসম্মান করা হয়। কুমিল্লার ঘটনাটা যদি বিশ্লেষণ করি সেটাই দেখতে পায়। আমাদের পবিত্র কোরআনকে অবমাননা করা হয়েছে। অন্যের ধর্মকে অসন্মান করতে গিয়ে। এটাই হচ্ছে সব থেকে দুঃখজনক। নিজের ধর্মের সম্মান নিজেকেই রক্ষা করতে হবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আইন কেউ হাতে তুলে নেবেন না। কেউ যদি অপরাধ করে, সেই যে-ই হোক না কেন বিচার করা হবে। আমাদের সরকার সেই বিচার করবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের নবী করিম (সা.) বলেছেন, “ধর্ম নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করবে না”। আমাদের সেই কথাটা মেনে চলতে হবে, স্মরণ করতে হবে, জানতে হবে। তাহলেই ইসলামের সঠিক শিক্ষাটা পাবো। প্রতিটি ধর্মেই শান্তির কথা বলে। সবাই শান্তি চাই।’

বাংলাদেশে আমরা একটা অসাম্প্রদায়িক সমাজে বসবাস করি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে সব ধর্মের সঙ্গে আমাদের সম্প্রীতি থাকবে। সম্প্রীতি নিয়েই আমাদের চলতে হবে। যুগ যুগ ধরে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে আসছি।’

মুক্তিযুদ্ধে সব ধর্মের মানুষ জীবন দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন,  তারা কিন্তু কোনও ধর্ম দেখেননি। তারা রক্ত দিয়েছেন, সেটা সব ধর্মের জন্য। সব ধর্মের রক্ত একাকার হয়ে মিশে গেছে। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। এখানে সব ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি পেশার মানুষ মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে চলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবসময় এ রকম একটা ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হয়। অথচ বাংলাদেশটা এগিয়ে যাচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি প্রতিটি জেলায় আওয়ামী লীগের একটি অফিস হোক।’