• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বাংলাদেশ আর পিছিয়ে যাবেনা, এগিয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০২১  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আর পিছিয়ে যাবেনা, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা গড়ে তুলবো।

তিনি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ‘অগ্রসেনা’ হিসেবে কাজ করে যাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২১ (এনডিসি) ’ এবং ‘আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২১ (এএফডব্লিউসি )’ এর গ্রাজুয়েশন সেরিমনিতে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিরপুর ক্যান্টনমেন্টস্থ ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে সংযুক্ত হয়ে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমি আশা করি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ’৪১-এর প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রসেনা হিসেবে কাজ করে যাবেন।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যে কোন ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে সদা প্রস্তুত থাকেন। তাঁরা বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সন্মুখ সারির যোদ্ধা হিসাবে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।”

তিনি বলেন, “আমি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের এইটুকু বলবো- আমাদের ’৪১-এর যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন তারই অগ্রসেনা হিসেবে আপনারা কাজ করে যাবেন, আমি এটা আশা করি। আর ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তি হবে, সেটাও আমাদের মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে।”

এবারে এন.ডি.সি. -তে ২৭ জন বিদেশী সামরিক সদস্যসহ মোট ৮৮ জন এবং এ.এফ.ডব্লিউ.সি. -তে মোট ৫৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। তিন বাহিনী প্রধান এবং এনডিসি কমানড্যান্ট অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমাদের সরকারের উদ্দেশ্য ছিল দেশ-বিদেশের উচ্চ পর্যায়ের সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাদের জন্য একটি শীর্ষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা। আজ আমি সন্তুষ্টির সাথে বলতে পারি যে, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ তার অভীষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। দেশ-বিদেশের উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত করে তোলার পাশাপাশি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আমি জেনে আনন্দিত যে, এ পর্যন্ত ২৪টি বন্ধুপ্রতিম দেশের ৩৮৩ জন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এনডিসিতে উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। সময়ের পরিক্রমায় এনডিসি কোর্সের সদস্য সংখ্যা এবং একাডেমিক কার্যক্রমের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সীমিত সম্পদ, অবকাঠামো ও জনবল দিয়েও এনডিসি সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে-  এজন্য আমি এনডিসি’র কমান্ড্যান্ট এবং তার টিমকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নিকট ভবিষ্যতে এসকল সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠার জন্য তাঁর সরকার একটি বাস্তব-সম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করবে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।”

এবারে এন.ডি.সি. -তে ২৭ জন বিদেশী সামরিক সদস্যসহ মোট ৮৮ জন এবং এ.এফ.ডব্লিউ.সি. -তে মোট ৫৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছেন, উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আপনাদের অনেকেই কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে দীর্ঘ প্রায় একবছর কঠোর পরিশ্রম ও অনুশীলন করেছেন। এনডিসিতে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং জাতীয় নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করেছেন, যা নিঃসন্দেহে আপনাদের কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব অর্জনে সহায়ক হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমি আশা করি, এই কোর্স দু’টিতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সামরিক সদস্যগণের সাথে আমাদের সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা সর্বোপরি আমাদের প্রকৃতি ও মানুষের সঙ্গে যে নিবিড় মিথস্ক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে তা ভবিষ্যতে অটুট থাকবে।”

তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথাও পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেন।
সূত্র : বাসস