• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

‌ঢাকায় বসে সমালোচনা না করে গ্রামে ঘুরে আসুন: প্রধানমন্ত্রী

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২২  

সমালোচনাকারীদের রাজধানী ঢাকায় বসে সরকারের সমালোচনা না করে গ্রামে ঘুরে আসতে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৬ মে) ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-এর বাস্তবায়ন পর্যালোচনার জন্য দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের কিছু মানুষ আছেন, তারা সমালোচনা করেন এটা করা হচ্ছে কেন? পরমাণু বিদ্যুৎ কেন করা হলো। এতো টাকা খরচ হয়েছে। খরচের দিকটা অনেকে শুধু দেখেন, কিন্তু এই খরচের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণ যে কতো লাভবান হবে এবং আমাদের অর্থনীতিতে কতোটা অবদান রাখবে, আমাদের উন্নয়ন গতিশীল হবে, মানুষের জীবন পরিবর্তন হবে সেটা বোধহয় তারা বিবেচনা করেন না। এটা খুব দুঃখজনক।

সরকারের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের নদীমাতৃক বাংলাদেশ। সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নটা একান্তভাবে অপরিহার্য। যোগাযোগ যতো বৃদ্ধি পাবে মানুষের পণ্য পরিবহন ততো বৃদ্ধি পাবে, মানুষের যাতায়াত বৃদ্ধি পাবে, অর্থনীতি সচল হবে। তৃণমূল পর্যায়ে উৎপাদিত পণ্য তা বাজারজাত করা সহজ হবে। যেটা আমাদের অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করবে। দারিদ্র বিমোচন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে তৃণমূলের মানুষ সব থেকে বেশি লাভবান হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, অবশ্য ঢাকা বসে অনেকে সমালোচনা করেন তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে সারা বাংলাদেশেটা আপনারা একটু ঘুরে দেখবেন। পরিবর্তনটা কোথায় এসেছে, কতোটুকু এসেছে, সেটা বোধহয় সকলে একটু গ্রাম পর্যায়ে যোগাযোগ করলেই সেটা জানতে পারবে। শুধু রাজধানীতে বসে সমালোচনা না করে গ্রামে ঘুরে আসুন।

তিনি বলেন, আমি তো দেশের টেলিভিশন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আগে তো একটা টেলিভিশন ছিলো বিটিভি। আমি ১৯৯৬ সালে এসে বেসরকারি খাতে টেলিভিশন, রেডিও সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছি। এখন সবাই কথা বলতে পারেন, টকশো করতে পারেন। অবশ্য আমি জানি অনেক কথা বলার পরও বলবে ‌‘আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না’। কিন্তু যখন টকশোতে কথা বলেন কেউ তো আপনাদের মুখ চেপে ধরেনি বা গলা টিপে ধরেনি। সবাই যার যা মন চায় বলছেন। তাই সবাইকে আমি বলবো আগে বাংলাদেশটা একটু ঘুরে আসেন। গ্রামপর্যায়ে যান সেখানে মানুষ কি অবস্থায় আছে, সেটা দেখে এসে কথা বললে আপনারা হয়তো জানতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের কৃষক, শ্রমিক খেটে খাওয়া মানুষ। এই খেটে খাওয়া মানুষ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করাই তো আমার লক্ষ্য। কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে উন্নত জীবন দেব সেটাই আমাদের লক্ষ্য। এসডিজিতে যে সমস্ত বিষয়গুলো রয়েছে আমাদের জন্য যা প্রযোজ্য আমরা তা বাস্তবায়ন করেছি এবং বাস্তবায়ন করে যাব।

সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের দৃশ্যপট পাল্টে যাবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সমস্ত প্রকল্পগুলো যখন সম্পন্ন হবে। মানুষ এর শুভফল যখন ভোগ করবে, তখন এ দেশের অর্থনীতির চাকা আরো উন্নত হবে, সচল হবে, দারিদ্র বিমোচন হবে। আমরা দেশের মানুষের সার্বিক উন্নতি করতে পারবো।