• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

‘আ. লীগ না থাকলে রাস্তায় মারামারি শুরু হয়ে যেতো’

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২২  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখানে অনেকেই সমালোচনা করেন। তারপরেও বলবো আওয়ামী লীগ সরকার আছে বলে দ্রব্যমূল্য কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি। এখান যদি অন্য কেউ থাকতো তাহলে দেশের যে কী অবস্থা হতো, এমন কী রাস্তায় রাস্তায় মারামারি শুরু হয়ে যেতো। কাজেই সেটা হয়নি।

মঙ্গলবার (১৭ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভার (ভার্চ্যুয়াল) সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এটা আমাদের অর্থনীতির ওপর বিরাট প্রভাব ফেলেছে। শুধু আমরা না উন্নত, অনুন্নত দেশেই সমস্যা। দ্রব্যমূল্যের চাপ এখন ইউরোপে। এখন এমন দেশ আছে যেখানে ১৭/৫০ পারসেন্ট পর্যন্ত দ্রব্যমূল্য বেড়েছে।

তিনি বলেন, জার্মানির মতো জায়গায় তেলের অভাব, একমাত্র অলিভ অয়েল ছাড়া কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় সেখানে তেল নির্দিষ্ট করে দেওয়া, এক লিটারের বেশি কেউ নিতে পারবে না। আমেরিকায় ইনফ্লেশন আট ভাগের ওপর উঠে গেছে, ১০ ভাগে পৌঁছে যাবে। এক ডলারের ডিজেল-পেট্রোল এখন চার ডলারের ওপর উঠে গেছে। সেখানেও এখন মানুষ একবেলা খেতেই কষ্ট। সারা বিশ্বব্যাপীই কিন্তু এই অবস্থা বিরাজমান। তারপরও আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পেরেছি।

তিনি বলেন, যেগুলো আমাদের আমদানি করতে হয় তার তো দাম বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের জাহাজ ভাড়া বেড়ে গেছে। তাছাড়া যেখানে উৎপাদন হতো উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে, সেখানে যুদ্ধ এবং করোনার কারণে। তাহলে আমাদের দেশের ভেতরে একটু মূল্যস্ফীতি বা জিনিসের দাম বাড়বে।

‘দেশবাসীকে অনুরোধ করবো সবাই যদি একটু সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হয় এবং সব ব্যবহারে সবাই যেন একটু সতর্ক হয় তাহলে খুব সমস্যা হওয়ার কথা না। দ্রব্যমূল্যের দাম যে বেড়েছে, এটা যে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে এই কথাটা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে। ’

উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মাটি-মানুষ আছে, এই মাটি মানুষ নিয়ে আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে, মানুষের চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে। এজন্য আমি জাতির পিতা পদাঙ্ক অনুসরণ করে ডাক দিয়েছি যে, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে। আমাদের খাবার আমরা উৎপাদন করবো। আমরা নিজেরা তো ব্যবহার করবোই আবার অন্যকেও সহযোগিতা করতে পারবো এবং আমরা তা পারি। আমাদের সেভাবে দেশের মানুষকে বলতে হবে।

বৈশ্বিক এ মন্দার সময় বেছে বেছে প্রকল্প নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এই প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও বাজেট দিতে যাচ্ছি। ভালোই বাজেট মোটামুটি আমরা মনে করি। প্রকল্প নেওয়া ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে। কোনটা আমার এক্ষুণি প্রয়োজন, সেগুলো আমরা করব। আর যেগুলো এক্ষুণি প্রয়োজন নেই সেগুলো একটু ধীরগতিতে করব। যেন আমাদের অর্থনীতির ওপর চাপটা না আসে।

সরকার প্রধান আরো বলেন, যেখানে সারা বিশ্বব্যাপী এই মন্দা এবং বিশ্বব্যাপী একটা দুর্ভিক্ষ অবস্থার দিকে যাচ্ছে সেখানে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। সেজন্য টাকা খরচের ক্ষেত্রে বা সব ক্ষেত্রে আমাদের অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। অহেতুক আমাদের সম্পদ যেন আমরা ব্যয় না করি। সেগুলো আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা যদি খুব ভালোভাবেই হিসাব করে চলতে পারি তাহলে আমাদের দেশে কোনো সমস্যা হবে না।