• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আয় নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে কুচক্রীমহল

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২২  

প্রথমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশের কয়েকটি গণমাধ্যম ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট: তিন বছর আয় করতে পারেনি, খরচ উঠবে কবে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে বিভ্রান্তি ছড়ায়। এর পর যখন সত্য উদঘাটন হলো- তিন বছর ধরেই আয়ের ধারায় রয়েছে বিএসসিএল। তখন এই আয়ের পরিমান নিয়ে সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ছড়াতে শুরু করেছে কুচক্রীমহল।

বিষয়টি নিয়ে দেশের বিজ্ঞজনরা বলছেন, শুরু থেকেই সরকারের সকল কাজের বিপরীতে অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য কাজ করছে একটি দল। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে হীন স্বার্থ হাসিলের জন্য এসব কাজ করে থাকে। আর দেশবিরোধী এই অপপ্রচারের পেছনে রয়েছে বিএনপি-জামায়াতের মতো স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তি। তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার জন্যই এসব অপপ্রচার চালায়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আর্শিবাদপুষ্ট রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ। নুরুল হক নুরের দলের নেতারাই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক অপপ্রচার চালাচ্ছে। সাথে রয়েছে বিএনপি-জামায়াতের দেশি-বিদেশি পেইড এজেন্ট। জানা যায়, তারেক রহমানের দেয়া মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সরকারবিরোধী এসব অপপ্রচার চালায় তারা।

এদিকে বিএসসিএল বলছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে এখন পর্যন্ত আয় ৩০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। বর্তমানে কোম্পানির মাসিক আয় প্রায় ১০ কোটি টাকা, যার প্রায় পুরোটাই দেশীয় বাজার থেকে হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে এই আয় আরও বৃদ্ধি পাবে।

বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং দেশের সব বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ ৩৯টি টিভি চ্যানেল এবং দেশের একমাত্র ডিটিএইচ অপারেটর আকাশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার করছে।

দেশের দুটি স্বনামধন্য ব্যাংক এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে তাদের এটিএম সেবা দেয়া শুরু করেছে। আরও অনেকগুলো সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলমান তারাও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সেবার আওতায় আসবে। তাছাড়া সম্প্রতি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ বিএসসিএলের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী এবং ডিজিএফআই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সেবার আওতায় আসবে। বাহিনীগুলো সম্মিলিতভাবে তিনটি ট্রান্সপন্ডারের মাধ্যমে সেবা নেবে।

সাধারণত এমন স্যাটেলাইটের আয়ু ধরা হয় ১৫ বছর। আয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে লাভের মুখ দেখা কঠিন হবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ দেশের মানুষের ভালোবাসার প্রকল্প। এর সঙ্গে আমাদের অনেক গর্ব, স্বপ্ন জড়িত রয়েছে। ১৯৭৫ সালে এ পথ শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে এর সূচনা করেন সেসময়। এখন সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে বিএসসিএল ৩১টি দুর্গম ও প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলের ১১২টি স্থানে টেলিযোগাযোগ সেবা দিচ্ছে। তাই এই স্যাটেলাইট নিয়ে অপপ্রচার না করে গর্ব করা উচিত।