• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

‘অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে’

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২২  

অর্থনীতি নিয়ে অস্থির হওয়া যাবে না উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, অর্থনৈতিক সংকট ঘটতেই পারে, কিন্তু তা মোকাবিলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ওপর প্রাক বাজেট গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

মঙ্গলবার (১৭ মে) ঢাকার নীলক্ষেতে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) উদ্যোগে হয় এই বৈঠক।

এতে অংশ নেন মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. মুসলিম চৌধুরী, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জাহিদ বখত, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জাতি হিসেবে আমরা খুব একটা কর্মঠ নই। আমরা চাপে পড়লে কাজ করি কিন্তু তা নাহলে করতে চাই না। অর্থনীতি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এটিকে নিয়ে প্যানিকড হওয়া যাবে না। আমি হাওর এলাকার সন্তান। আমি ছোটবেলায় দেখেছি হাওরের ঢেউ কত কঠিন হতে পারে। ঢেউ দেখে মাথা নষ্ট হয়ে যেত, কিন্তু হাল ছাড়িনি। আমাদের প্রান্তিক জনগণের প্রতি নজর আছে। বাজার অর্থনীতির শক্তির কারণে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। বাজার অর্থনীতির বাস্তবতা মেনে নিয়েই এর নিষ্ঠুরতা যত কমানো যায় তা নিয়ে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা এবং ধারাবাহিকতা খুব প্রয়োজন। আমরা কয়েকদিন আগেও মাহাথির মোহাম্মদের নাম শুনলে পাগল হয়ে যেতাম। তাকে আমাদের কাছে রোল মডেল হিসেবে ধরা হয়। কারণ তিনি ২২ বছর মালয়েশিয়াকে সাপোর্ট দিয়ে, সেবা করে উন্নয়ন করেছেন। শেখ হাসিনা তিনবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন যেন আর সহ্য হচ্ছে না অনেকের। মাহাথিরের ক্ষেত্রে ২২ বছর সহ্য হয়, কিন্তু শেখ হাসিনার বেলায় ১২ বছরেই উসখুস শুরু হয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটের করনীয় ও বর্জনীয় দিক তুলে ধরেন।

মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. মুসলিম চৌধুরী বলেন, বাজেট কোনো আয় ব্যয়ের শিট নয়। বর্তমানে বাজেট প্রণয়নে আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বচ্ছতা এসেছে। জাতীয় বাজেট মোট অর্থনীতির চার ভাগের একটি অংশ মাত্র। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে, টাকা আনলিমিটেড নয়। সরকারের টাকার লিমিটেশন আছে। আমাদের জিডিপির গড়ে ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়। এরমধ্যে ২৪ শতাংশ প্রাইভেট সেক্টর থেকে আসে, আর বাকি ৬ শতাংশ সরকারি বিনিয়োগ।