• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

দেশে গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে ২১৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২২  

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মোট চাহিদা ছিল দৈনিক এক হাজার ৫০২ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমান চাহিদা প্রায় তিন হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। সেই হিসাবে বিগত ১৬ বছরে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে ২ হাজার ১৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট। একই সময়ে খনিজ তেলের চাহিদা বেড়েছে ৩০ লাখ মেট্রিক টন।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফ।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে দেশে খনিজ তেলের চাহিদা ছিল প্রায় ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে চাহিদা প্রায় ৬৩ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদার বিপরীতে সরকারি ও বিপিসির নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৪ লাখ মেট্রিক টন। এছাড়া অন্যান্য উৎস (সরকারি/বেসরকারি ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্ট) হতে বার্ষিক চার থেকে সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি পণ্য পাওয়া যায়।

সরকারি দলের সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় নতুন একটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র। বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ পাহাড়ি এলাকায় গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে খাগড়াছড়ির সেমুতাং গ্যাসক্ষেত্র ও এর পার্শ্ববর্তী ২৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ত্রিমাত্রিক সাইসমিক জরিপ সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে দুটি সাইসমিক সার্ভে ওভার এক্সপ্লোরেশন ব্লক ১৫ এবং ২২ প্রকল্পের আওতায় ফেনী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ পাহাড়ি এলাকায় দ্বিমাত্রিক সাইসমিক জরিপ কার্যক্রম চলছে। এছাড়া পার্বত্য এলাকায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে ‘এক্সপ্রেশন অব ইনটারেস্ট’ আহ্বান করা হয়।

বিনিয়োগে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের দাখিল করা প্রস্তাবসমূহ মূল্যায়ন করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল দেওয়ার কাজ চলছে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।