• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

‘বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত স্মৃতি নিদর্শনগুলো জাতির অমূল্য সম্পদ’

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২২  

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত স্মৃতি নিদর্শনগুলো জাতির অমূল্য সম্পদ। অর্থমূল্য দিয়ে এর পরিমাপ করা যাবে না। আবার নতুন করে এটি সৃষ্টিও করা যাবে না। আমরা আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করতে চাই যেন হাজার বছর পরও এটি অবিকল ও অবিকৃত থাকে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চারটি অমূল্য স্মৃতি নিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান ও সহকারি কিউরেটর কাজী আফরিন জাহান। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্মৃতি নিদর্শনসমূহ হস্তান্তর করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান। জাতীয় জাদুঘরের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চারটি স্মৃতি নিদর্শন যথাক্রমে মুজিব কোট, টোব্যাকো পাইপ, পাঞ্জাবি ও পায়জামা গ্রহণ করেন যথাক্রমে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।

জাতির পিতার ব্যবহৃত জিনিস ও নিদর্শনসমূহ দিয়ে জাতীয় জাদুঘরে আলাদা গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করা হবে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরকে তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে ৪৯টি নিদর্শন উপহার দেন। যার মধ্যে ছিল মানপত্র, কাঁসার থালাসহ আরও কিছু জিনিসপত্র। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত সাইকেল, কলম, স্বহস্তে লিখিত ও স্বাক্ষরিত চিঠি, বিভিন্ন সূচিকর্ম ও চিত্রকর্ম জাদুঘর কর্তৃক সংগৃহীত হয়েছে।

কে এম খালিদ বলেন, আমরা জাদুঘরের জন্য একটি বাস পেয়েছি যেটি দিয়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ছাত্র-ছাত্রীসহ দর্শনার্থীদের জাদুঘর পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। যার মধ্য দিয়ে তাদের সামনে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধসহ জাতির সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হবে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগস্ট শোকের মাস। এ মাসে যখন বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত জিনিস স্পর্শ করি, তখন সারা শরীরে কম্পন অনুভব করি, গভীর শোকে বেদনার্ত হই। প্রতিমন্ত্রী এসময় দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিদর্শনসমূহ জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত ব্যক্তিগত স্মৃতি নিদর্শনসমূহ সংগ্রহ জাতীয় জাদুঘরের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে জাদুঘরের দর্শনার্থীরা বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম বাঙালি জাতির জন্য বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ-তিতিক্ষা ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে আরও বিশদভাবে জানতে পারবে।

বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, জাতীয় জাদুঘরের দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি এবং হস্তান্তরকরা নিদর্শনসমূহের একাধিক কপি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে রয়েছে বিধায় সেগুলো জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরও অনেক স্মৃতিনিদর্শন বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে রয়েছে যেগুলো প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর করা যেতে পারে।

জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি নিদর্শন কেবল সংগ্রহ করলেই হবে না, এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রেখে তাঁকে অনুসরণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান গত ২৬ জুলাই বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হস্তান্তরকরা স্মৃতি নিদর্শনসমূহের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে চিঠি দেন এবং ১০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভায় জাতীয় জাদুঘরের প্রস্তাব সাদরে গৃহীত হয়।