• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আজ মীনা দিবস

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২  

২৪ সেপ্টেম্বর, আজ শনিবার মিনা দিবস। ১৯৯৮ সাল থেকে দেশব্যাপী মীনা দিবস উদযাপন করছে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা। এই দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছর একটি প্রতিপাদ্য থাকে। ২০২২ সালের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষা’। 

আমি তো কালকের খুশি আর আশা

আমারও তো সাধ আছে, আছে অভিলাষা

ঘরে বেঁধে রেখো না, নিয়ে যাও এগিয়ে।।

৯০ এর দশকে যে শিশুরা বেড়ে উঠেছে তাদের জন্য এই লাইনগুলো অতি পরিচিত। শুধু পরিচিত বললে ভুল হবে, বরং এই গান শুনে বড় হয়নি এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। শিশুদের প্রিয় মীনা কার্টুনের গানের দুটি লাইন এটি। কার্টুন সাধারণত শিশুদের বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হলেও এটি শিক্ষামূলক একটি কার্টুন। যার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন অসামঞ্জস্যতা তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে কন্যা শিশুর অধিকার নিয়ে এই কার্টুন সবসময় সচেতনতামূলক বিভিন্ন পর্ব নির্মাণ করেছে।

সরকার, এনজিও ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সহযোগিতায় ‘ইউনিসেফ’ ঘোষিত দিবসটি সাড়ম্বরে উদযাপন করে থাকে। বিদ্যালয়ে যেতে সক্ষম শতভাগ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিতকরণ এবং ঝরেপড়া রোধের অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্বে পালিত হয় ইউনিসেফের ঘোষিত দিবসটি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাল্য বিয়ে, পরিবারে অসম খাদ্য বণ্টন, শিশুশ্রম রোধ প্রভৃতি বিষয়ে সচেতন করা ও কার্যকর বার্তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ‘মিনা’ চরিত্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মীনা শিশু-কিশোরদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় বাংলা কার্টুন। এ কার্টুন ছবিটি তৈরি করেছে ইউনিসেফ। আমরা সবাই মীনা কার্টুনের ব্যাপারে জানলেও কীভাবে এর শুরুটা ঘটলো তা অনেকেই জানিনা।

কার্টুনের মূল চরিত্র মীনা নয় বছর বয়সের কন্যাশিশু। সে তার পরিবারের সঙ্গে একটি ছোট গ্রামে বাস করে। এ চরিত্রের মাধ্যমে শিশুদের অধিকার, শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিনোদন এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে বেড়ে ওঠার চিত্র ফুটে ওঠে।

মীনা কার্টুনে একটি পরিবারের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে মীনা সময়মতো স্কুলে যায়, বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করে এবং পরিবারের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করে। মিনা চরিত্রটি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, নেপাল তথা দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েশিশুদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি বালিকা চরিত্র। ১৯৯৮ সাল থেকে দেশব্যাপী মিনা দিবস উদযাপন করছে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা। 

১৯৯১ সালে ইউনিসেফের উদ্যোগে কার্টুন চরিত্র হিসেবে মীনার জন্ম। এর জনক মুস্তাফা মনোয়ার। ফিলিপাইনে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যানিমেশন স্টুডিও হান্না বারবারায় ১৯৯২ সালে মীনা কার্টুনের প্রথম কয়েকটি পর্ব নির্মাণ করা হয়। এরপর ভারতের রামমোহন স্টুডিওতে নির্মাণ করা হয় মীনা কার্টুন। তারপর বাংলাদেশেই মীনা কার্টুন তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রথম ১৯৯৫ সালে বিটিভিতে মীনা কার্টুন দেখানো শুরু হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশনে মীনা কার্টুন দেখানোর পাশাপাশি রেডিওতে প্রচারিত হয় মীনার অনুষ্ঠান। ইউনিসেফ ও বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস প্রথম রেডিওর জন্য মীনা সিরিজ তৈরি করে। ৬৮টি ভ্রাম্যমাণ ফিল্ম ইউনিটের মাধ্যমে মীনা পৌঁছে গেছে দেশের আনাচ-কানাচে। 

প্রতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর দিবসটি উদযাপন করা হয়। প্রতি বছরের মতো এ বছরও মিনা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে র‌্যালি, মিনাবিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, যেমন খুশি তেমন সাজো ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।