• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

ডিজিটাল সংযোগ অগ্রগতির চাবিকাঠি: মোস্তাফা জব্বার

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২২  

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল সংযোগ হচ্ছে অগ্রগতির চাবিকাঠি। প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীসহ দেশের প্রতিটি গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে দেশের ৯৮ ভাগ অঞ্চল ফোর-জি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে। বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে বাংলাদেশ কাজ করছে।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে তার দপ্তর থেকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে হুয়াওয়ে আয়োজিত কানেক্ট দ্য আনকানেক্টেড মেকিং রিমোট কানেকসনস, পলিসি, টেকনোলজিক্যাল ইনোভেশন অ্যান্ড মাল্টিপার্টি কো-আপরেশন শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্যানেল আলোচনায় বেলজিয়াম, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া এবং কম্বোডিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টেলিকম মন্ত্রী, ডিজিটাল প্রযুক্তি গবেষক ও ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতের অংশীজনরা অংশ নেন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী দেশের ডিজিটাল সংযোগ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশ ডিজিটাল সংযোগ ও প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ২০২১ সালে সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে মোবাইলফোন বিকাশের অভিযাত্রা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে থ্রি-জি, ২০১৮ সালে ফোর-জি এবং ২০২১ সালে ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী হাওর, দুর্গম চর-দ্বীপ ও পার্বত্য অঞ্চলে উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছানো খুবই কঠিন কাজ। তিনি বলেন, আমরা দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌছানোর চ্যালেঞ্জ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করছি।

বিদ্যুৎসাশ্রয়ী গ্রীণ টেলিকম ডিভাইস প্রতিষ্ঠায় সরকারের গৃহীত উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, পরিবেশ ও প্রতিবেশ বান্ধব নিরবচ্ছিন্ন টেলিকম সেবা প্রতিষ্ঠা আমাদের লক্ষ্য। এসময় তিনি করোনাকালে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা সচল রাখতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফলতার চিত্র আলোচনায় তুলে ধরেন।

মন্ত্রী ফাইভ-জি প্রযুক্তিকে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, গোটা পৃথিবী টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত উদ্যোগে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে টেলিকম বিশেষজ্ঞরা বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাসসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় স্মার্ট ফ্যাক্টরি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় কাজে লাগাতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি কার্বণ নিঃসরণ হ্রাসে ফলপ্রসূ অবদান রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।