• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

আরাভ খানের ভিডিও প্রকাশ্যে, নজরদারিতে ২ সহযোগী

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩  

ঢাকায় পুলিশ হত্যা মামলার আসামি দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ওরফে আপনের বিশ্বস্ত দুই সহযোগীকে নজরদারিতে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঐ দুজন কক্সবাজারে থাকেন। তারা সম্পর্কে শ্যালক-দুলাভাই। ফেসবুকে তাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন আরাভ নিজেই। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
আরাভ যে দুজনকে পরিচয়ে করিয়ে দেন তারা হলেন- কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ার বাসিন্দা শেফায়েত হোসেন জয় ও জসিম উদ্দিন নাহিদ।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, আরাভ খান ঐ দুই যুবককে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি ভিডিওতে বলেন, জয় ও জসিম কক্সবাজারের মাফিয়া। জয় ‘কিলার’, নাহিদ আগামী নির্বাচনের ‘এমপি প্রার্থী’। ২০২২ সালের ৮ জুলাই আরাভ খান তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ ভিডিওটি পোস্ট করেন।

কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ার বাসিন্দা জয় ও তার ভগ্নিপতি নাহিদ প্রতি মাসে দুবাই আসা-যাওয়া করেন। তাদের দৃশ্যমান কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকলেও হঠাৎ করে আলিশান গাড়িতে চলাফেরা, বিলাসবহুল জীবনযাপন এলাকার মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগেও নাহিদ কক্সবাজারের রিগ্যাল প্যালেস নামের একটি আবাসিক হোটেলে ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজার পদে চাকরি করতেন। কিন্তু কয়েক বছরে তিনি রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকায় দুটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।

আবু তৈয়ব রকি নামে ফেনীর এক ট্রাভেল এজেন্সি মালিকের অভিযোগ, কাতার বিশ্বকাপ দেখে ফেরার পথে প্রবাসে থাকা পরিবারের সদস্যদের ৬০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে ফিরছিলেন ফেনীর চার বাসিন্দা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন জয় ও নাহিদ। ঢাকার বিমানন্দরে নামার পর নাহিদ ও জয় তাদের রাজধানীর বসুন্ধরার ফ্ল্যাটে বিশ্রামের অজুহাতে নিয়ে যান। পরে তারা সেখান থেকে ঐ স্বর্ণ নিয়ে সটকে পড়েন।

তিনি আরো জানান, যেসব বাংলাদেশি দুবাইতে স্বর্ণ কিনতে যান, নাহিদ ও জয় তাদের টার্গেট করেন। দেশে ফেরার পর সেই স্বর্ণ লুটের পর বিক্রি করে দেন শ্যালক-দুলাভাই।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযুক্ত দুজনের নানা তথ্য এসেছে। এসব বিষয়ে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। অভিযুক্ত দুজন পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।