আমরা যুদ্ধ-সংঘাত চাই না: প্রধানমন্ত্রী
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩

সব ধরনের বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমতা ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না। নরনারী ও শিশু হত্যা আমাদের তীব্রভাবে ব্যথিত করে। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। টেকসই শান্তি বিরাজমান থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তির নীতি অনুসরণ করি।
‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার (২৪ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
আগামীকাল ‘গণহত্যা দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করে। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন একাত্তরের ২৫ মার্চের কালরাতে আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদদের।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছর ধরে শৃঙ্খলিত বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার প্রয়াসে সারা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ প্রথম গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন। সেই থেকে বায়ন্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর একুশ দফা, বাষট্টির আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান সহ সব আন্দোলন সংগ্রামে অত্যন্ত দূরদর্শীতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
‘তিনি ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘোষণা করেছিলেন, আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এদেশটির নাম হবে পূর্ব-পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধু মাত্র বাংলাদেশ। তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করেছিলেন এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পুরো জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সত্তরের নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু, পাক- সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা শুরু করে। বৈঠকের মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করে তারা নিরস্ত্র বাঙালি নিধনের উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন; ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন এবং ১৫ মার্চ থেকে ৩৫ দফা নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশ সারা পূর্ব-বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সব প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তার আদিষ্ট পথেই পরিচালিত হতে থাকে। বাংলাদেশে ইয়াহিয়ার শাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। ইয়াহিয়া-ভুট্টো বারবার সমঝোতার প্রস্তাব দিতে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অটল থাকেন। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সারা দেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। মধ্যরাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক নিয়ে 'অপারেশন সার্চ লাইট' পরিচালনা করে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা করতে শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষক, বাঙালি পুলিশ ও সামরিক সদস্যদের হত্যা করতে থাকে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে। এর অব্যবহিত পূর্বেই জাতির পিতা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান- ‘ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন- চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও’। যা প্রথমে ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে এই বার্তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানিরা বন্দি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়; এমনকি তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। ১৩ জুন সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস যুক্তরাজ্যের একটি পত্রিকার প্রথম পাতায় বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম বর্বরতার বাস্তব চিত্র নির্ভর একটি বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশ করলে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টি ত্বরান্বিত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়, ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারায় এবং গোটা দেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর আমরা জাতিসংঘের গণহত্যা বিরোধী কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করি। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শান্তির সংস্কৃতির ওপর রেজ্যুলেশন গ্রহণের প্রস্তাব করি, যা ১৯৯৯ সালে গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শান্তির সংস্কৃতির বর্ষ’ এবং ২০০১-২০১০ সময়কে 'শান্তির সংস্কৃতি এবং অহিংস দশক' ঘোষণা করে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ২০০৮ সাল থেকে সবকয়টি নির্বাচনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে গত ১৪ বছরের বেশি সময় একটানা তাদের ভাগ্যোন্ননের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবতা বিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ২৫ মার্চকে 'গণহত্যা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছি। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গণহত্যা এড়াতে ভীত-সন্ত্রস্ত ১১ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছি। আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে 'জিরো টলারেন্স' নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আমরা 'বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০' প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছি। ভবিষ্যত প্রজন্ম এই পরিকল্পনাকে সময়োপযোগী করে বাস্তবায়ন করতে পারবে।
এ সময় ‘গণহত্যা দিবস' উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
- যে লক্ষণগুলোতে বুঝবেন আপনার ভিটামিনের অভাব
- কয়লা সংকটে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র
- ‘আম খেলে ঘুম পায়’, কারণ...
- গরমের দুপুরে রাঁধুন ‘লাউ-শোলের ঝোল’
- দেখা মিলছে ‘স্ট্রবেরি মুন’
- রোহিঙ্গাদের বাইরে কাজের সুযোগ দেবে না বাংলাদেশ
- সবাইকে ৩টি করে গাছ লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- ‘পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে একটি চক্র’
- আ.লীগ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: শেখ হাসিনা
- ফারুকের আসনে নির্বাচন করবেন হিরো আলম
- আজ ঢাকায় আসছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে
- এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরও কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখার আহ্বান
- পটুয়াখালীতে ৫ মণ নিষিদ্ধ হাঙ্গর জব্দ
- ভারতে প্রশিক্ষণ নেবেন বাংলাদেশের আরও ১৮০০ সরকারি কর্মকর্তা
- লোডশেডিংয়ে ভুগছে দেশের মানুষ: প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপ
- ভূমির যেসব সুবিধা পাওয়া যায় অনলাইনে
- ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ১০ বাংলাদেশির সবাইকে পাওয়া গেছে
- সূচক বেড়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
- আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে খোকন সেরনিয়াবাতকে জয়যুক্ত করতে হবে
- গৌরনদীতে মাটি খুঁড়ে বিদেশী পিস্তলসহ একজন গ্রেফতার
- প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় দ্বিতীয় পাতাল রেল নির্মাণ
- সিসিকের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান
- বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত: প্রধানমন্ত্রী
- ঘরে বসে মিলছে আইনি সেবা, সন্তুষ্ট বিচারপ্রার্থীরা
- এরকম পরিস্থিতি আর হয়েছিল কিনা জানি না
- বিশ্বের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন (১৯৫৫)
- ভিসা জটিলতা: ৯০ হজ এজেন্সিকে শোকজ
- অস্বস্তিকর এই গরম আরও পাঁচ-ছয়দিন
- এই লক্ষণগুলো দেখা দিচ্ছে? হতে পারে তা কিডনি নষ্ট হওয়ার ইঙ্গিত
- দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখেন? দেখা দিতে পারে যেসব সমস্যা
- দুজন বাহকের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করা গেলেই থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ সম্ভব
- হাঁপানি থেকে রেহাই পেতে নতুন চিকিৎসা
- শরীরে প্রতিদিন কতটুকু ক্যালসিয়াম প্রয়োজন?
- ডায়াবেটিসে চোখের যে ক্ষতি হয়
- লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি দুই সপ্তাহের মধ্যে
- ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে ভেদরগঞ্জে আলোচনা সভা
- আম খেলে আমাদের শরীরে যা ঘটে
- ডামুড্যায় ধান ও চাল সংগ্রহ ২০২৩ উদ্বোধন
- ঘন ঘন বায়ুত্যাগের সমস্যা? দূর করতে করণীয়
- সরকার সকল হজযাত্রীকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনছে
- মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন
- গরমে হতে পারে হিটস্ট্রোক, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- সবক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে : শামীম
- ধূমপানের কুফল...
- গ্রীষ্মের এই গরমে শিশুর যত্নে করণীয়
- শিশুর জ্বর হলে ভুলেও যে কাজগুলো করা যাবে না
- দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম, আদৌ স্বাস্থ্যকর কি?
- বাসায় ডেকে নিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করলেন শিক্ষক