• বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৩ ১৪৩০

  • || ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশির মুখে ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার বর্ণনা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৩  

ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বালেশ্বরে দুর্ঘটনার কবলে পড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে বাংলাদেশিরাও ছিলেন। তাদের সংখ্যা ঠিক কত, তা এখনও জানা যায়নি। তবে বাংলাদেশি যাত্রীদের খোঁজ নিতে এরই মধ্যে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসের তিন সদস্যের একটি দল ওড়িশার পথে রওনা হয়েছে।

ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ার খবরে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশিদের মধ্যেও। অনেকেই নিকটাত্মীয়দের খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। তাদের সুবিধার্থে একটি হটলাইনও চালু করেছে বাংলাদেশের উপ-দূতাবাস।

দুর্বিষহ সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে ওই ট্রেনের বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশি যাত্রী মিনাজ উদ্দিন বলেন, আমি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বি-৩ কামরায় ছিলাম। এত বড় ট্রেন দুর্ঘটনা আগে কখনও দেখিনি। আমাদের আগের কামরা পুরো দুমড়েমুচড়ে গেছে। সেখানে যেসব বাঙালি ছিলেন, তাদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আহতদের মধ্যে দুই বাংলাদেশি নাগরিকের সন্ধান পাওয়া গেছে। তারাও চিকিৎসার জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে চেন্নাই রওনা হয়েছিলেন। দুর্ঘটনায় দুই জনই মারাত্মকভাবে আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ওড়িশার বালেশ্বরের ফকির মোহন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কটকের শ্রীরাম চন্দ্র ভঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ফকির মোহন মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক টি সুরেশ কুমার গুপ্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দুই বাংলাদেশি আমাদের এখানে ভর্তি হন। দুই জনের শরীরের নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ত্বকের অবস্থা ভালো নয়।’

যদিও তাদের নাম-পরিচয় এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। কারণ দুর্ঘটনার পর দুই জনই অচেতন হয়ে পড়েন। তবে তাদের মধ্যে একজন এতটুকু বলতে পেরেছেন, তারা দুই জনই বাংলাদেশের বাসিন্দা। ওড়িশার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানানো হয়নি।