• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সরকার এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবে: শেখ হাসিনা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৩  

এ বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবে, বিগত বছরগুলোতেও পেরেছে।

রোববার (৪ জুন) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৬ সালে বিএনপি সরকারের আমলে বাজেট ছিল মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকা। এ বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট (৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা) আমরা দিয়েছি। এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং আমরা তা পারব, আওয়ামী লীগ পারবে।

তিনি বলেন, আমি জানি, অনেকে অনেক কথাই বলার চেষ্টা করেন, কিন্তু আমরা বাংলাদেশটাকে চিনি, বাংলাদেশটাকে জানি, আর এই বাংলাদেশের মানুষের অবস্থাটাও আমাদের জানা। অবশ্য ঢাকা শহরে বসে...আমরা এখন বিদ্যুৎ দিয়েছি, সেখানে এয়ারকন্ডিশন্ড রুমে বসে … আমরা যা কাজ করি, সেখানেই একটা সমালোচনা, সেখানেই একটা কিন্তু খুঁজে বেড়ানো। আর মানুষকে হতাশ করার কতগুলো কথা তারা বলে বেড়ায়।

তিনি বলেন, বাজেট দেওয়ার পর তারা প্রতিবারই বলেন, “এটা সম্ভব না, এটা করতে পারবে না”—আমরা কিন্তু তা করি এবং করে দেখাই। যারা এসব কথা প্রতিবছর বলেন, তাদের বলব, আগের বছর কী বলেছিলেন, আর আজকের বাংলাদেশ কোথায় এসেছে, একটু হিসাব করে তারা যেন দেখেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের বদনাম বিদেশিদের কাছে বলে বলে তারা নিজেরা সেখান থেকে কী পায়, আমি জানি না। কিছু হাদিয়া-টাদিয়া জোগাড় করে কি না, তাও বলতে পারব না কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলেই তারা যেন তৃপ্তি পায়।

আরও পড়ুন: চিলাহাটি-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন উদ্বোধন

দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস এবং বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, তার ওপর স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশনের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতিটি পণ্যের মূল্য বেড়ে গেছে। আমাদের জ্বালানির মূল্য বেড়েছে, গ্যাসের মূল্য বেড়েছে, খাদ্যপণ্যের মূল্য বেড়েছে, গম-চিনি যা কিছু আমরা কিনতে যাচ্ছি, সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে, পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আমরা যে ঋণ নিয়েছি, তারা সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। যার ফলে আমাদের অর্থনীতির ওপর একটা চাপ আছে। তা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের নিজেদেরও কিছু উদ্যোগ আছে।

লোডশেডিং বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দেবো: প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ বিশ্বব্যাপী গ্যাস-তেল-কয়লা সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়াতে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। টাকা দিয়েও কেনা যাচ্ছে না। এ রকমই অবস্থা দাঁড়িয়েছে। যার জন্য...আমি জানি এই গরমের মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে। একদিকে মূল্যস্ফীতি আর অপরদিকে এখন বিদ্যুৎ নেই—এই দুটি কষ্ট আমার দেশের মানুষ পাচ্ছে।

ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থার তুলনা করে শেখ হাসিনা বলেন, গত শীতের সময় ইউরোপের দেশগুলো, তারা গরম পানি ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছিল। কারণ, সবকিছু ইলেকট্রিসিটিতে চলে। গরম পানি বন্ধ, হিটিং বন্ধ, এ রকম তাদের দুরবস্থা। এমনকি বাজারে গেলে সীমিতভাবে কিনতে হতো। একটি পরিবার ছয়টির বেশি ডিম কিনতে পারবে না, এক লিটারের বেশি তেল কিনতে পারবে না, তিনটার বেশি টমেটো কিনতে পারবে না—ঠিক এই অবস্থাটা। বাংলাদেশ এখনো সেই দুরবস্থায় পড়েনি, ইনশাল্লাহ পড়বেও না।
 
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করেন। এ ট্রেনটি ঢাকা-চিলাহাটি রুটে সপ্তাহে ৬ দিন চলবে। এ আন্তঃনগর ট্রেনে যাত্রী ধারণের সক্ষমতা ৮০০ জন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেল সচিব হুমায়ন কবির।