• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

হাইড্রোলিক হর্নের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি : পরিবেশমন্ত্রী

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২৩  

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেছেন, হাইড্রোলিক হর্ন সম্পর্কে দেশের মানুষকে সচেতন করতে হবে। এর কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এটি বন্ধ করতেই হবে। সেজন্য আমরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটা করে সভা করেছি। পরে জেলা শহরে মসজিদের ইমাম, অন্যান্য উপাসনালয়ের পুরোহিতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও চালকদের নিয়ে সভা করেছি। কেউ যাতে হর্ন না বাজায়, সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে চেষ্টা করেছি। আমরা খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছি।

রোববার (৪ জুন) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৩ উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদও উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় আমরা দেখেছি, যখন কোনো একটি গাড়ি থেকে হর্ন বাজানো হয়, পেছনের গাড়ি তাকে জিজ্ঞাসা করে হর্ন কেন দেওয়া হয়েছে। হর্ন দেওয়া গালি দেওয়ার মতো। অন্য দেশগুলোতে সেভাবেই এটিকে মনে করে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহাব উদ্দিন বলেন, আপনারা বলেছেন, মন্ত্রীরা হর্ন বাজানো বন্ধ করলে শব্দদূষণ অনেকটা বন্ধ হয়ে যাবে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনাদের মাধ্যমে আমি জানাতে চাই, মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তারা এই শব্দদূষণ নীতিমালা মেনে চলবেন। তাহলে সাধারণ মানুষ হর্ন না বাজাতে উৎসাহিত হবেন।

শব্দদূষণ কবে বন্ধ হবে; জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলমান প্রক্রিয়ায় এটি করতে হবে। শব্দদূষণ ব্যবহারে সবার সহযোগিতা চাই। আপনারা যত প্রচার করবেন, সাধারণ মানুষ তত সচেতন হবেন।

শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, হর্ন নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে আমরা আরেকটি প্রকল্প নিয়েছি। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি গাড়িতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎসাহিত করা হবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে জনভোগান্তি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) শক্তিশালী করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীকেও প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসব। যাতে মানুষকে ভোগান্তি না দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আমরা পদক্ষেপ নিতে পারে।

প্রতিটি গাড়িতে ‘নো হর্ন’ স্টিকার ব্যবহার করতে হবে বলেও জানান সচিব। তিনি বলেন, সড়ককে শতভাগ ‘নো হর্ন’ প্রচারের আওতায় নিয়ে আসতে চাচ্ছি। সরকারি ও বেসরকারি ঋণ নিয়ে যেসব কর্মকর্তারা গাড়ি কিনছেন, তাদের জায়গা থেকেও হর্ন না-বাজানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাচ্ছি।