মহানবীর (সা.) আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই সফলতা-শান্তি নিহিত
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হজরত মুহাম্মদের (সা.) সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ, উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী, মহানবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল তথা ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হজরত মুহাম্মদকে (সা.) বিশ্বজগতের হেদায়েত ও নাজাতের জন্য ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সারা জাহানের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। নবী করিম (সা.) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, “হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি” (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত ১০৭)।
তিনি বলেন, মুহাম্মদ (সা.) এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্ত্বার চিরমুক্তি, শান্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন এবং মানব কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন। বিশ্বশান্তির অগ্রনায়ক রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, নাগরিকদের মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ নানা দিক বিবেচনা করে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন মানব ইতিহাসের প্রথম প্রশাসনিক সংবিধান ‘মদিনা সনদ’। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবীর (সা.) অনবদ্য ভূমিকার আরেকটি অনন্য স্মারক হুদায়বিয়ার সন্ধি। বাহ্যিক পরাজয়মূলক হওয়া সত্ত্বেও কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তিনি এ সন্ধিতে স্বাক্ষর করেন। তাঁর অমিত সাহস, ধৈর্য ও বিচক্ষণতা তখনকার মানুষকে যেমন বিমুগ্ধ করে, তেমনি অনাগত মানুষের জন্যও শান্তি প্রতিষ্ঠার আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, হুদায়বিয়ার চুক্তির মাধ্যমেই মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহর ঘর কাবা শরিফ জিয়ারত করার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। মহানবীর (সা.) শান্তিপূর্ণ ‘মক্কা বিজয়’ মানব ইতিহাসের আর এক চমকপ্রদ অধ্যায়। কার্যত তিনি বিনা যুদ্ধে, বিনা রক্তপাতে ও বিনা ধ্বংসে মক্কা জয় করেন। শত অত্যাচার-নির্যাতন ও যুদ্ধ করে আজীবন যে জাতি নবী করিমকে (সা.) সীমাহীন কষ্ট দিয়েছে, সেসব জাতি ও গোত্রকে মক্কা বিজয়ের দিন তিনি অতুলনীয় ক্ষমা প্রদর্শন করে এবং তাদের প্রতি উদার মনোভাব দেখিয়ে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষমা ও মহত্বের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার এমন নজির বিশ্বে দুর্লভ। মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন, যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারী হিসেবে পথ দেখাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে মহানবীর (সা.) অনুপম জীবনাদর্শ, তাঁর সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে মহানবীর (সা.) সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দান করুন- আমিন।
- মৌসুমী গলাব্যথার কারণ ও সারানোর উপায়
- ফ্রিজে রাখা টমেটো খেলে হতে পারে বিপদ
- মাংসের একঘেয়েমি ভুলতে আজ রাঁধুন পনিরের তরকারি
- ডিপফেক থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায়
- মানাং গ্রাম: পর্বতের পাদদেশে এক টুকরো সুখ
- কক্সবাজারে হোটেলে ৭০ শতাংশ ছাড়, লাগবে শুধু ট্রেনের টিকিট
- হাইটেক পার্কে চাকরি, আবেদন অনলাইনে
- বগুড়ায় খড়বোঝাই ট্রাকে আগুন, আহত ২
- ‘হেলথ কার্ড’ চালু হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে
- সিম নিবন্ধনের সূত্র ধরে চোরচক্র শনাক্ত, গ্রেপ্তার ৬
- বরিশালে বাতিল ৬ জনের মনোনয়ন
- ছিনতাইয়ের কবলে সৌদি নাগরিক, গ্রেফতার ৪
- ইসির নিরপেক্ষতা দৃশ্যমান করতে টিম ও সেল গঠন
- চাকরির কথা বলে ৩০ লাখ টাকা প্রতারণা
- জলবায়ু পরিবর্তনের তহবিল শহরগুলোতে সরাসরি পাঠানোর দাবি
- খুলনায় প্রতিবন্ধী ভাতার উপকারভোগী সাড়ে ৩৮ হাজার
- কত টাকা হলে ভ্যাট ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক
- পেটে সোনার বলসহ বিমানবন্দরে গ্রেফতার চারজন রিমান্ডে
- কর্মদিবসে চাকরি, ছুটির দিনে ছিনতাই: কারাগারে ৩
- দেওয়ানি আদালতের অবকাশকালীন জজ নিয়োগ
- শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দল নেতাদের বৈঠক সোমবার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ হলেন অধ্যাপক ড. হারুন
- প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
- যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত
- লাইফ সাপোর্টে ‘সিআইডি’ ধারাবাহিকের ফ্রেডি
- এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা, দেখে নিন সূচি
- টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের অংশীজন সভা ১১ ডিসেম্বর
- মেট্রোপলিটনসহ সারা দেশে বদলি হচ্ছেন পাঁচ শতাধিক থানার ওসি
- বুধ-বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ দেবে ইসি
- প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার পুরস্কার
- মন্দ আচরণ নিয়ে আল্লাহর বক্তব্য সুরা সাফে
- শুক্রবার থেকে কার্যকর হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি
- পট্রি নৌবন্দর বানিজ্যক ব্যবস্থায় লাভবান হবে
- শীতে শিশুর খাদ্য তালিকায় যেসব খাবার রাখা জরুরি
- আ.লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় শরীয়তপুরে রঙ মেখে উল্লাস
- কৃষকের মাঝে মসলা জাতিয় ফসলে বীজ বিতরণ
- আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাড়বে কৃষি উৎপাদন
- হাত ও পায়ের তালুর চামড়া উঠলে করণীয়
- ঠাকুরগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণে ২ পুলিশ সদস্য আহত
- পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা, আটক ২
- অ্যাপেন্ডিক্স কি অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ?
- চার লেন হচ্ছে ওসমানী বিমানবন্দর সড়ক
- কৃষিতে নীরব বিপ্লব
- চাচা প্রবাসে থাকায় চাচির সঙ্গে পরকীয়া, অতঃপর...
- ভাতিজার স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, ধরা খেলেন চাচা শ্বশুর
- বাজারে শীতের সবজি, স্বস্তি ব্রয়লারে
- হাঁটবেন না সাইকেল চালাবেন, বেশি উপকারী কোনটি?
- শিশুর হ্যান্ড–ফুট–মাউথ রোগ
- গুড় আসল না নকল, বুঝবেন যেভাবে
- দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির