• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ক্রিকেটার আল আমিনের লিখিত জবাবের শুনানি ১৬ অক্টোবর

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২২  

একসঙ্গে বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরণপোষণ ও সন্তানদের খরচ দাবির করে মামলা ও  ক্রিকেটার আল আমিন হোসেনের লিখিত জবাবের ওপর শুনানির জন্য ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ দিন ধার্য করেন।

এদিন আল-আমিনের লিখিত জবাব দাখিলের ওপর শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু আল-আমিন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। এছাড়া দুই সন্তান নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন আল-আমিন স্ত্রী ইসরাত জাহান। এরপর তার আইনজীবী মো. শামসুজ্জামান বিবাদী আল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। তবে এ মামলার ক্ষেত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করার সুযোগ নেই। এজন্য আদালত আল-আমিনের লিখিত জবাব দাখিলের ওপর শুনানির জন্য ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

৭ সেপ্টেম্বর আদালতে আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান মামলাটি করেন। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি আমলে গ্রহণ করেন। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর আসামি আল আমিন আদালতে উপস্থিত হন। পরে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ইসরাত জাহান ও আল-আমিন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়ালেখা করছে। বেশ কিছুদিন ধরে আল-আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ প্রদান করেন না এবং খোঁজও না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন। যোগাযোগও করেন না। ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। সংসার করবে না বলে জানায়। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়।

৩ সেপ্টেম্বর আল-আমিন তার মায়ের মাধ্যমে জানান, ইসরাতের সঙ্গে সংসার করবেন না এবং সন্তানদের ভরণপোষণ দেবেন না। প্রয়োজনে বাসা থেকে বের করে দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেবেন। পরকীয়ায় আসক্তের কারণে একাজ করেছেন এবং একজন মহিলার সঙ্গে উঠানো ছবি ইসরাতে কাছে পাঠায়।

মামলায় আরো বলা হয়, আল-আমিন স্ত্রী-সন্তানদের বাসা থেকে বের করে অন্যত্র বিয়ে করবেন বলে জানান। দুই বছর যাবৎ আসামি বাদীর খোঁজখবর নেন না এবং বাসায় নিয়মিত থাকেন না। যার কারণে ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার অধিকারসহ মাসিক ভরণপোষণ দাবি করে মামলা করেন। জীবন ধারণের জন্য ৪০ হাজার, দুই সন্তানের ভরণপোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়াবাবদ ৬০ হাজার টাকা আল-আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।