• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

সাথীকে হত্যা করে অনৈতিক সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটায় তরুণ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২১  

টিকটক ঘিরে বেড়েই চলেছে অপরাধ। খুনের মধ্য দিয়ে ৩২ বছরের নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটাল ২০ বছরের তরুণ। সাজানো হয়েছিল আত্মহত্যার নাটক। অবশেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন হত্যাকারী তরুণ। পুলিশ বলছে, খুনের নেপথ্যে রয়েছে টিকটক।

২০২০ সালের মে মাসে সাথী আক্তারের বিয়ে হয় সৌদি প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে। স্বামী সৌদিতে থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয় বগুড়ার ছেলে জুবায়েরের সঙ্গে।

আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ বিয়ে করেন ১২ বছরের ছোট জুবায়েরকে। মাস দুয়েক পর সাথী কিছু না জানিয়ে বোনের বাড়ি রাজশাহীতে চলে যান। জুবায়েরকে জানান, আগের স্বামীর ঘরে ফিরতে চান তিনি। তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুবায়েরকে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে ডিভোর্স হয়ে যায় তাদের।
 
তালাক হলেও যোগাযোগ ছিল তাদের। চলতি বছরের ২৬ আগস্ট তারা রাজধানীর খিলক্ষেতের এক বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া থাকতে শুরু করেন। যদিও তাদের মধ্যে পুনরায় বিয়ে হয়নি।
 
১৪ সেপ্টেম্বর বাড়িটি থেকে সাথীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে আত্মহত্যা মনে হলেও পরবর্তীতে ঘটনা মোড় নেয় হত্যাকাণ্ডে। তদন্তে বেরিয়ে আসে সাথীকে খুন করার পর জুবায়ের পালিয়ে যায় চট্টগ্রামে। সেখান থেকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাকে। পরবর্তীতে আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসে হত্যার বিবরণ।

ঘটনার দিন সাথী মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিল। পেছন থেকে তারই ব্যবহৃত একটি ওড়না দিয়ে গলায় শক্ত করে পেঁচিয়ে ধরে জুবায়ের। মিনিট দুয়েকের মধ্যে শ্বাসরোধে মারা যান সাথী। পরে বাথরুমের ভেন্টিলেটরের রডের সঙ্গে ওড়না বেঁধে আত্মহত্যার নাটক সাজায় জুবায়ের। জুবায়ের দাবি, দ্বিতীয়বার তার কাছে ফিরে আসার পরও আগের স্বামীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল তার।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (গুলশান বিভাগ) মশিউর রহমান বলেন, প্রথমে আমাদের কাছে বলতে চেয়েছিল তার স্ত্রী বাথরুমে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে সে দরজা ভেঙে তাকে বের করেছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ১০ বছর সংসার করা নারী-পুরুষও অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। এই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পরও আবার তারা পেছনে ফিরতে চায় বা নতুন করে আবার সম্পর্ক করতে চায়। এটাই তাদের নৈতিক অবক্ষয়। এখানে মানুষের এ ধরনের সম্পর্ক রাস্তাঘাটের বন্যপ্রাণীদের মতো হয়ে গেছে। এ ধরনের সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস, ভালোবাসা কিছুই থাকে না। তখন তারা প্রতিশোধপ্রবণ হয়ে উঠে। সেই সময় তারা হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।  

পুলিশ বলছে, সাথী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কারণ ছিল টিকটক।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একে এম হাফিজ আক্তার বলেন, সাথী সব সময়ই টিকটক, লাইকি এবং ভারতীয় সিরিয়াল নিয়ে ব্যস্ত থাকত। সারাক্ষণ তারা ঝগড়া-বিবাদ করত। একপর্যায়ে মনের ক্ষোভে সে তাকে হত্যা করেছে, প্রাথমিকভাবে সে জানায়। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সুস্থ বিনোদন থাকা উচিত।