• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ব্যথার ওষুধে মাদক, গ্রহণে হারাবে যৌনশক্তি!

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২১  

ব্যথানাশক ওষুধ মরফোন ট্যাবলেট। উৎপাদন থেকে শুরু করে ব্যবহারে রয়েছে ওষুধ প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিধিনিষেধ। চিকিৎসকের পরামর্শে শুধু লাইসেন্সধারীরাই সুনির্দিষ্ট রোগীর কাছে বিক্রি করতে পারবেন ওষুধটি। অথচ খোলাবাজারেই পাওয়া যাচ্ছে, মিলছে বিভিন্ন ওষুধের দোকানে।

অবৈধভাবে অক্সি-মরফোন ট্যাবলেট খোলাবাজারে বিক্রির দায়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ হাজার ট্যাবলেট।

দীর্ঘদিন ধরেই একটি চক্র মিটফোর্ডকেন্দ্রিক ওষুধের বাজারে চড়া মূল্যে ওষুধটি বিক্রি করে আসছিল। অক্সি-মরফোনের ২০ পিস ট্যাবলেটের দাম ৪০০ টাকা হলেও দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করত চক্রটি।

গোয়েন্দারা বলছেন, মাদক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে মরফোনের চাহিদা বেশি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার রাজীব আল মাসুদ বলেন, যশোর-পিরোজপুরের দিকে বেশকিছু জায়গায় এর বহুল ব্যবহার হচ্ছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি তরুণরাই এটা বেশি নিচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পেয়েছি, যেখানে এই ওষুধটি মাদক হিসেবে বেশি চলে। খোলাবাজারে এটি বিক্রি নিষিদ্ধ। তাই নিষিদ্ধ জিনিসটি বেশি দামে কিনতেও রাজি আছে ওইসব মাদকসেবী।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ইউফোরিক ড্রাগ। মস্তিষ্কে প্রচণ্ড আনন্দের অনুভূতি তৈরিকারক এই ওষুধটি উৎপাদনে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব নেওয়ার পরামর্শ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ কে এল কবিরের।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, এই ওষুধের প্রভাবে হার্ট, কিডনি, লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তরুণদের জন্য সবচেয়ে সতর্কবার্তা হচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদে গ্রহণের ফলে যৌনশক্তি কমে যাবে। এটা বন্ধ হওয়ার জন্য মনিটরিং প্রতিষ্ঠানকে তৎপর হতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হয়তো একটা অভিযান চালিয়ে কিছু ওষুধ জব্দ করল। এরপর একটা মামলা রুজু করে দিল। কিছু দিন পর জেল থেকে বের হয়ে তারা আবার এ কাজ করবেন। তাতে তো আর সমাধান না। সমাধান হচ্ছে, মনিটরিংটা আরও শক্তিশালী হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এই ওষুধগুলো আমাদের দেশে প্রয়োজন। তবে খুব বেশি প্রয়োজন না। খুব কম পরিমাণেই সেটার প্রয়োজন হয়। তাই একটা পরামর্শ হতে পারে, সরকার নিয়ন্ত্রিত ইডিসিএলের মাধ্যমে ওষুধটা তৈরি হয় এবং নিয়ন্ত্রিত উপায়ে বিপণন হতে পারে। অর্থাৎ, কোনো একটা হাসপাতালে কী পরিমাণ প্রয়োজন হবে, সে অনুযায়ী তারাই ইডিসিএল থেকে সংগ্রহ করবে।  

ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এমন কিছু ওষুধের খোঁজ পাওয়ার কথাও জানিয়েছে গোয়েন্দারা।