• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

প্রেমিকার বাড়ি এসে ধরা, কোটি টাকায় সমাধান

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২১  

ফেসবুকে পরিচয়। এরপর প্রেম। দুজনের মন দেওয়া-নেয়া দীর্ঘদিনের। তবে প্রেমিকাকে এক নজর দেখতে বরিশাল থেকে ঢাকার ধামরাইয়ে ছুটে আসেন প্রেমিক। কিন্তু ধরা পড়ে যান এলাকাবাসীর হাতে। প্রেমিকাকে দেখতে এলেও করতে হয়েছে বিয়ে। তাও এক কোটি টাকার কাবিনে।

শনিবার বিকেলে উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের ঈশানগর এলাকায় প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমিকের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে, শুক্রবার বাদ জুমা প্রেমিককে আটক করে এলাকাবাসী।

প্রেমিকের নাম মো. আলী আজম হাওলাদার। তিনি বরিশাল সদরের টেম্পোর মোড় এলাকার আরমান আলী হাওলাদারের ছেলে। আর প্রেমিকা কানিজ ফাতেমা ঢাকার ধামরাইয়ের ঈশানগর গ্রামের মো. কুটুমিয়ার মেয়ে।

স্থানীয়রা জানায়, ফেসবুকে ফাতেমার সঙ্গে আজমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানে শুক্রবার সকালে লঞ্চে চেপে সদরঘাটে আসেন আজম। এরপর বাদ জুমা সোজা প্রেমিকার বাড়ি হাজির হন। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আটক করে মারধর করেন এলাকার লোকজন। খবর পাঠানো হয় আটক প্রেমিকের বাবা-মায়ের কাছে। শনিবার দুপুরে কুটুমিয়ার বাসায় আসেন তারা। এরপর বিকেল ৫টার দিকে কাবিন রেজিস্ট্রি করে প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে দেওয়া হয়।

প্রেমিক আলী আজম হাওলাদার বলেন, ফেসবুকে কানিজ ফাতেমার সঙ্গে আমার পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তার সঙ্গে দেখা করতে আসি; কিন্তু আমাকে এলাকাবাসী আটক করে। এরপর তাকে বিয়ে করি।

কানিজ ফাতেমা বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে আলী আজম হাওলাদারের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক হয়। আমিই তাকে আসতে বলেছি; কিন্তু গ্রামবাসী ও আমার পরিবারের লোকজন আমার মতামত উপেক্ষা করে তাকে আটক করেন। ভালোবাসার সম্মান রাখতে সে আমাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছে।

কানিজ ফাতেমার বাবা কুটুমিয়া বলেন, চেনা নেই, জানা নেই; মেয়ে একজনকে ভালোবাসবে তা হতে পারে না। এছাড়া ‘ও’ এখনো নাবালিকা। ওর সিদ্ধান্ত নেয়ার বয়স হয়নি। তাই তাকে আটক করা হয়। কিন্তু ছেলের বাবা-মা এসে বিয়ে সম্পন্ন করলে আমরা আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হই।

ইউপি মেম্বার মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ছেলে-মেয়ে রাজি আছে। গ্রামবাসী ও পরিবারের লোকজন রাজি না হওয়ায় ওই ছেলেকে আটক করা হয়। তার মা-বাবাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে খবর পাঠানো হলে তারা যথাসময়ে চলে আসেন। এরপর ওই কিশোর-কিশোরীর বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হয়।