• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

হত্যা করে ১৩ বছর আত্মগোপনে, পরিচয় পাল্টে হন ‘বাবুর্চি’

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৩  

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে শ্যালিকা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. শাহ পরানের পর এবার তার ভগ্নিপতি নাসির ওরফে নাসিমকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।
সোমবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার। এর আগে, রোববার লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত নাসির ফটিকছড়ি উপজেলার পূর্ব ভূজপুর এলাকার নূরু আহমদের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে ভুক্তভোগীর বড় বোন দেলোয়ারা বেগমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় শাহ পরানের। ঐ বিয়ের ঘটক ছিলেন শাহ পরানের ভগ্নিপতি নাসির। বিয়ের পর থেকে সংসারের অভাব অনটনসহ পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে দেলোয়ারা বেগমকে শারীরিক নির্যাতন করতেন শাহ পরান। নির্যাতন সইতে না পেরে একপর্যায়ে শাহ পরানকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান দেলোয়ারা বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় তাকে হত্যার হুমকি দিতেন শাহ পরান। তালাকের ঘটনায় দেলোয়ারা বেগমের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন নাসিরও।

২০১০ সালের ১ এপ্রিল রাতে খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন দেলোয়ারা বেগম ও তার ১০ বছর বয়সী ছোট বোন ফারহানা ইয়াছমিন ওরফে রিকা মনি। ঐ রাতে আনুমানিক ৪টার দিকে দেলোয়ারা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের ঘরে ঢোকেন শাহ পরান ও নাসির। এরপর ঘুমন্ত দেলোয়ারা বেগমের বুকের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করেন শাহ পরান।

ঐ সময় দেলোয়ারা বেগমের চিৎকারে তার মা ও ছোট বোন ফারহানা ইয়াছমিন ঘুম থেকে জেগে আসামিদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে শাহ পরান তার হাতে থাকা ছোরা দিয়ে ফারহানা ইয়াছমিনের পেটে একাধিকবার আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই ফারহানা মারা যান।

ফারহানার মায়ের চিৎকারে তার ভাই এবং প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে হাতে থাকা ছোরা ও ব্লেড ফেলে পালিয়ে যান শাহ পরান ও নাসির। এরপর প্রতিবেশীরা দেলোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরদিন ২ এপ্রিল এ ঘটনায় ভুজপুর থানায় দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ফারহানার মা।

ঐ সময় শাহ পরানকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও জামিনে বেরিয়ে পলাতক ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল এ মামলায় শাহ পরানকে মৃত্যুদণ্ড ও নাসিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন নাসির। এদিকে, শুক্রবার রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া থেকে শাহ পরানকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

র‍্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আবছার বলেন, শাহ পরানকে গ্রেফতারের দুইদিন পর নাসিরের অবস্থানও শনাক্ত করা হয়। এরপর রোববার লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পরপরই পালিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলে যান নাসির। সেখানে নানা অনুষ্ঠান ও খাবার হোটেলে বাবুর্চির কাজ করতেন। গ্রেফতারের ভয়ে এক জায়গায় বেশিদিন থাকতেন না। গ্রেফতারের পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।