• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

সম্পদ ও টাকা হাতিয়ে নিতে ধর্ষণসহ দেবাশীষের যত কৌশল!

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৩  

টার্গেট ধনাঢ্য পরিবারের নারী। একাধিক ধর্ষণ ও কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে বিলাসী জীবনযাপন। অবশেষে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দেবাশীষ কুমার সাহা গ্রেফতার হয়েছেন। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ পুলিশ ও নেতাদের সঙ্গে সখ্যর ভয়ও দেখাতেন দেবাশীষ।

রাজউকের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দেবাশীষ কুমার সাহা। যদিও নিজেকে পরিচয় দিতেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে। বিভিন্ন কাজে রাজউকে আসা ধনাঢ্য পরিবারের নারীদের টার্গেট করতেন তিনি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে সখ্য তৈরি করতেন।

বিবাহিত হলে স্বামীর সঙ্গে কৌশলে বিভেদ তৈরি করে তালাকের ব্যবস্থা করতেন। পরে ওই নারীকে বিয়ের আশ্বাসে লিপ্ত হতেন শারীরিক সম্পর্কে। এরপর গোপনে ধারণ করা সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন সব সম্পত্তি।

এমনই এক নারীকে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ এবং তার কোটি কোটি আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ দেবাশীষকে গ্রেফতার করেছে। ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ নিয়ে সময় সংবাদে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছিল সোমবার।

দেবাশীষের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। সম্পত্তি হাতিয়ে নিতেই মূলত তিনি নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতেন। পরিবারের কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা ছিল তার আরেক কৌশল।
 
পুলিশ বলছে, নিজের প্রভাব বিস্তার করতে পুলিশ, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদদের ভয় দেখাতেন দেবাশীষ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সময় সংবাদকে বলেন, ‘এক মেয়ের সঙ্গে দেবাশীষ কুমার সাহার ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেই অভিযোগও পেয়েছি। কিছুদিন আগে ধর্ষণের মামলায় সে জেলও খেটেছে।’

দেবাশীষ একজন পেশাদার ক্যাসিনো জুয়াড়ি। ১১ এপ্রিল নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে দুই ক্যাসিনো জুয়াড়ি দেবাশীষ ও মফিজুল ইসলামকে আটক করে সেখানকার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার ডলার উদ্ধার করা হয়। জনপ্রতি ৩০ হাজার ডলার পরিশোধের শর্তে তাদের ছেড়ে দেয়ার আদেশ জারি করা হয়। পরে উচ্চ আদালতে আপিল করলে ১০ লাখ নেপালি রুপি জমা দিয়ে ২৩ দিন পর জামিন নিয়ে বাংলাদেশে আসেন তারা। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ মে নির্ধারিত ছিল।

দেবাশীষ সাহাকে গ্রেফতারের পর ডিবি প্রধান জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ।