• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ঢাকা-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কে বদলে যাবে দক্ষিণাঞ্চল

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২১  

ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় থমকে আছে ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশাল মহাসড়কের চারলেনে উন্নীতকরণের কাজ। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত হলে কমবে দুর্ঘটনা, বাড়বে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশাল মহাসড়কের প্রথম ধাপে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হয়েছে। চারলেনের সঙ্গে এ সড়কে যোগ হয়েছে ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য দুইপাশে দুটি সার্ভিস লেন। কিন্তু ফরিদপুর ভাঙ্গা মোড় থেকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর-মাদারীপুরের রাজৈর, সদর উপজেলা ও কালকিনি হয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়কের পুরোটাই সরু। এছাড়া সড়ক বিভাজক না থাকায় অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে যানবাহনের গতি ধীর হওয়ার পাশাপাশি নষ্ট হয় সময়। এ সমস্যার সমাধান এবং পদ্মাসেতুর সুফল পেতে ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত আধুনিক সড়ক নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেয় সরকার। সে অনুযায়ী, ২০১৬ সালের শেষদিকে শুরু হয় সড়ক নির্মাণের সমীক্ষা। প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর একনেকে অনুমোদন পায়। এ প্রকল্পে শুধু জমি অধিগ্রহণের জন্য এক হাজার ৮৬৭ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা অনুমোদন দিয়েছিল একনেক। ২০২০ সালে ৩০ জুনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষ করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়নি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভূমি অধিগ্রহণ শেষে সড়ক বিভাগকে জমি বুঝিয়ে দিলেই তারা টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে সড়কের নির্মাণ কাজ করতে পারবে। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ভূমি অধিগ্রহণ শেষ না করায় থমকে আছে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের কাজ।

ঢাকা-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়ক

 

কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী ট্রাকচালক মহিউদ্দিন ব্যাপারী বলেন, কুয়াকাটা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত চারলেন হলে আমরা কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।

মাদারীপুর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি ফায়জুল শরীফ বলেন, মহাসড়কটি দ্রুত চারলেন করা হলে সড়ক দুর্ঘটনা একদম কমে যাবে।

মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য এমআর মুর্তজা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শুনে আসছি ঢাকা-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়ক চারলেন হবে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়নি। সব জটিলতা দূর করে শিগগিরই ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করার দাবি জানাচ্ছি।

মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে সময় বেশি লাগে। এ জন্য আলাদা ডিপিপি প্রনয়ণ করা হয়েছে এবং ডিজাইন প্রনয়ণের কাজ চলছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে যত দ্রুত ভূমি অধিগ্রহণ করা শেষ হবে, তত দ্রুত চারলেনের কাজ শুরু হবে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের জন্য যৌথ তদন্ত শুরু হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ হলেই পরবর্তী কাজ শুরু হবে। এটি একটি সময় সাপেক্ষ কাজ। শিগগিরই ভূমি অধিগ্রহণ শেষে মহাসড়কের মূল কাজ শুরু করা হবে।