• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

ঢাকার যানজট কমাবে বৃত্তাকার সড়ক

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২১  

এক দিক দিয়ে প্রবেশ করে অন্য দিক দিয়ে অনায়াসে বের হওয়া যাবে। আটকে থাকতে হবে না কোনো যানজটে। কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে গন্তব্যে। এতে সময় যেমন বাঁচবে, তেমনি রক্ষা হবে পরিবেশের ভারসাম্য।— এমন পরিকল্পনা নিয়ে রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে তিনটি বৃত্তাকার সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে কাজ এগিয়েছে অনেক দূর। আর রাজধানীর যানজট কমাতে রিং রোড নির্মাণের বিকল্প নেই উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকা হবে বিশ্বের উন্নত শহরগুলোর একটি।

যেমন হবে বৃত্তাকার সড়ক

যানজট নিরসনে রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে তিনটি রিং রোড বা বৃত্তাকার সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সেগুলো হলো- আউটার রিং রোড, মিডেল রিং রোড এবং ইনার রিং রোড। ইতোমধ্যে আউটার ও ইনার রিং রোড নির্মাণের কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আট থেকে দশ লেনবিশিষ্ট সড়কগুলো এমন হবে যে, ঢাকার ওপর দিয়ে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যেতে গাড়িগুলোকে দীর্ঘ সময় জটে বসে থাকতে হবে না। ঢাকার চারপাশ ঘিরে আউটার ও ইনার রিং রোড মিলিয়ে মোট ২২০ কিলোমিটার সড়ক হবে। যানজট যাতে না হয় সেজন্য এসব সড়কে ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, বাইপাসও নির্মাণ হচ্ছে। এছাড়া থাকবে নানামুখী সংযোগ সড়কও। এই সড়ক নির্মাণ হলে বহুমুখী যোগাযোগ সৃষ্টি হবে এবং শহরে গাড়ির চাপ কমবে।

ইনার রিং রোড

ঢাকার যানজট কমিয়ে গাড়ির চলাচলে গতি বাড়াবে ইনার রিং রোড। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই সড়কের র্দৈঘ্য হবে ৮৮ কিলোমিটার । এর মধ্যে ৬৩ কিলোমিটার সড়ক আবদুল্লাহপুর থেকে গাবতলী, সোয়ারিঘাট হয়ে পোস্তগোলা, ডেমরা, নারায়গঞ্জ গিয়ে শেষ হবে। আর ডেমরা থেকে বালু নদের তীর ঘেঁষে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার হবে আরেকটা অংশ। এই অংশে সড়ক নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। নতুন সড়ক নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড রুট নির্ধারণের কাজ করছে। সংস্থাটি এই সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ, স্লুইজগেট ও বাঁধ নির্মাণ করে দেবে।

আর দশ লেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ করবে সওজ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে এর ৬৩ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। দুই ভাগে ভাগ করে ইনার রিং রোড প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। বর্তমানে দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এখানে সড়কের পাশাপাশি অনেকগুলো ফ্লাইওভার, বাইপাস, আন্ডারপাস সার্ভিস লেন সবই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পুরো ৬৩ কিলোমিটার সড়কের মাঝে হবে ছয় লেন, আর দুই পাশে হবে আরও দুই দুই করে চার লেন। ইনার রিং রোড নির্মাণ হলে এক দিক থেকে ঢুকলে সেদিক থেকেই বেরিয়ে চলে আসা যাবে। রেডিয়াল কানেকশন পাওয়া যাবে অনেকগুলো। যেমন- গাবতলী থেকে আরিচার দিকে যাওয়া যাবে। এদিকে ভাঙা মাওয়া ফরিদপুর অনায়াসে যাওয়া যাবে। ঢাকা চট্টগ্রামে যেতে কানেকশন থাকবে সিঙ্গাইলে। আর আব্দুল্লাহপুরের সঙ্গে থাকবে গাজীপুরের কানেকশন। ধৌরে থাকবে নবীনগর, চন্দ্রার দিকে কানেকশন। একবার এই রিংরোডে উঠলে বিভিন্ন স্থানে অনায়াসে চলে যেতে পারবে গাড়িুগুলো। আবার ঢোকার ক্ষেত্রেও তাই।

আউটার রিং রোড

এটি হবে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে শুরু হয়ে কালাকান্দি-তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু, মদনপুর, ভুলতা হয়ে গাজীপুরের কড্ডা থেকে ঢাকা-ইপিজেড বাইপাইল দিয়ে হেমায়েতপুর পর্যন্ত। মোট ১৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঢাকা আউটার রিং রোডের ৪৮ কিলোমিটারই নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। বাকি ৮৪ কিলোমিটার বিদ্যমান সড়ককে উপযোগী করে তুলতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পও দুই পর্বে ভাগ করে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম পর্বে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে কেরাণীগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত আট লেনের ৪৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে বর্তমানে চার লেনের ১২ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর সঙ্গে আরও চার লেন নির্মাণ করা হবে। বাকি ৩৬ কিলোমিটার অংশ জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। আট লেন বিশিষ্ট এই আউটার রিং রোডের প্রস্থ হবে ২৪০ থেকে ৩০০ ফুট। এ অংশে দুটি রেস্ট এরিয়া, পাঁচটি ইন্টারচেঞ্জ, ছয়টি সেতু, ২০টি ওভারপাস এবং আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে।

৩৬ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণে ৩৮৪ হেক্টর জমির প্রয়োজন হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা। আর দ্বিতীয় পর্বে ৮৪ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ এবং উন্নয়নে ব্যয় হবে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। বিদ্যমান সড়কের মধ্যে ৪৮ কিলোমিটার দুই লেন এবং ৩৬ কিলোমিটার চার লেন করে রয়েছে। এই সড়কও আট লেনে উন্নীত করা হবে। এই সড়কে বর্তমানে থাকা ছোট ছোট সেতুগুলো ভেঙে আট লেন করে নির্মাণ করা হবে। আউটার রিং রোডের একটি সমীক্ষা শেষ করা হয়েছে। এখন সেটি অর্থদাতা সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন কোম্পানি (জাইকা) পর্যালোচনা করে দেখবে।

কেন এই বৃত্তাকার সড়ক

রাজধানী ঢাকায় প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস। এই ঘনবসতির ঢাকায় দিনকে দিন যানজট মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এক দিকে মানসম্মত গণপরিবহনের অপ্রতুলতা, অন্য দিকে গত কয়েক বছরে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধিতে যানজট চরম অবস্থায় পৌঁছেছে। এছাড়া মরার উপরে খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প। অন্য দিকে পদ্মাসেতু চালু হতে বাকি মাত্র দেড় বছর। ঢাকাবাসীকে পদ্মাসেতুর কাঙ্ক্ষিত সুবিধা দিতে হলে আউটার রিং রোড বাস্তবায়ন জরুরি। সে কারণে জোরেশোরে বাস্তবায়নের তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে মনিটরিং করা হচ্ছে। বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) খসড়ায়ও আউটার রিং রোড বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পদ্মাসেতু চালু হলে রাজধানীতে যানবাহনের চাপ বাড়বে। দেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে যানবাহন চলাচল বাড়বে। যার একটি বড় অংশ হবে রাজধানীমুখী। এই চিন্তা থেকেই সরকার সংশোধিত কৌশলগত পরিকল্পনা এবং ড্যাপেও রাজধানী ঘিরে বৃত্তাকার সড়ক নির্মাণের বিশেষ প্রস্তাব রেখেছে।

এগিয়েছে যতদূর

ঢাকাকে ঘিরে বৃত্তাকার সড়ক নির্মাণের কাজ করছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। এ প্রসঙ্গে সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দীন খান (ঢাকা অঞ্চল) বলেন, ‘ঢাকার যানজট কমাতে আমাদের আরএসটিপিতে ইনার রিং রোড, মিডল রিং রোড এবং আউটার রিং রোড নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। মূলত আমরা ইনার রিং রোড এবং আউটার রিংরোড নিয়েই কাজ করছি। ইনার রিংরোড হবে মোট ৮৮ কিলোমিটার। দুই ধাপে আমরা কাজ শুরু করেছি। কারন ৬৩ কিলোমিটার সড়ক এখন তৈরি আছে, যেটি বাড়াতে হবে আরও ২৫ কিলোমিটার।’

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এখানে ভূমি অধিগ্রহণ অতটা লাগবে না। অল্প কিছু লাগবে। সেটা নিয়ে সড়ক ও জনপথ কাজ করছে। সেখানে সমীক্ষা, নকশা শেষ। এখানে অনেকগুলো ফ্লাইওভার, বাইপাস, আন্ডারপাস সার্ভিস লেন সবই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সোয়ারিঘাট থেকে সদরঘাট যাওয়ার কোনো উপায় নেই। কারণ ওখানে জমি নেই। সেজন্য সোয়ারিঘাট পার হয়ে বুড়িগঙ্গা ক্রস করে ওপার চলে যাবে গাড়িগুলো। ওপারে গিয়ে বাবুবাজার সেতুর পাশে আরেকটা আট লেনের সেতুর প্রস্তাব করা হয়েছে। সেটি কদমতলী চুলকুটিয়া হয়ে পোস্তগোলা (সেখানেও একটা নতুন সেতু তৈরি হবে চার লেনের) হয়ে চলে যাবে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায়। এটি হলো আমাদের অ্যালাইনমেন্ট পার্ট-২। যেটি ৬৩ কিলোমটার দৈর্ঘ্যের। যেখানে ব্যয় হবে ১২ হাজার কোটি টাকা।’

তিনি জানান, এই প্রকল্পের সমীক্ষা হয়েছে তিন বছর আগে। যে কারণে ব্যয় বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে অর্থদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং তাদের সম্মতিপত্র পেয়েছি। এখন তারা রিভিউ করবে। এর পর তারা দেখবে, সমীক্ষা ঠিক আছে কি না।’ ব্যয় বৃদ্ধির কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সমীক্ষা শেষ হয়ে প্রায় চার বছর আগে। এর মধ্যে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটেছে। সে জন্য এখন ব্যয় বাড়বে। দেরি হওয়ার কারণ এশিয়ান ইনফ্রাকস্ট্রার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)। তাদের অর্থায়নের কথা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ শুরু হওয়ায় সেটির প্রস্তাব আর এগোয়নি। চীনে যখন করোনা শুরু হয় তখনই প্রস্তাবটা যায় সেখানে। আর এজন্য চীনের দাতা সংস্থা দেরি করায় কাজ শুরুতে বিলম্ব হয়। তবে সম্প্রতি তারা সম্মতিপত্র দিয়েছে।’

আউটার রিং রোডের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটিরও সমীক্ষা শেষ হয়েছে। বলা যায়, এটির কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা বাইপাস যেটি গাজীপুরের কড্ডা থেকে শুরু হয়ে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত চলে গেছে। এখানেও ৪৮ কিলোমিটার সড়ক পুরোপুরি নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। আর এতে প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা। এটি জিটুজি পদ্ধতিতে অর্থায়ন করার কথা রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি বাস্তবায়নে অনেক আগেই সমঝোতা সই হয়েছে। এখন চলছে নকশা তৈরির কাজ। তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশ কিছু জায়গায় বড়ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। কারণ, ঢাকার বর্তমান পরিস্থিতিতে এক শতাংশ জমি সংগ্রহ করা কঠিন। দ্বিতীয় ধাপে সোয়ারিঘাট এলাকায় সমস্যায় পড়তে হবে। তবে উপায় খোঁজা হচ্ছে। এই রিং রোডের কারণে ঝুলে আছে মাওয়া এক্সপেস। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করারও তাড়া রয়েছে।’

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক বলেন, ‘ঢাকা একটি মেগা সিটি। এ সিটিতে রিং রোড না থাকা গ্রামাটিক্যাল মিসটেক। একটা শহর তৈরি হতে হলে সেখানে হাট-বাজার, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি থাকবে উন্নত সড়ক, গণপরিবহন। এখানে সড়ক ও পরিবহন কোনটিই মানসম্মত নয়। বর্তমান প্রেক্ষাপট এমন যে, ময়মনসিংহ থেকে আসার পথে গাজীপুরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন হলে আর আসার উপায় নেই। কিন্তু রিং রোড থাকলে একটি দিয়ে ঢুকতে গিয়ে না পারলে অন্য পথ দিয়ে চলে যেতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘সে জন্যই আমরা ঢাকাকে ঘিরে যতগুলো পরিকল্পনা করা হয়েছে যেমন- আরএসটিপি কিংবা ড্যাপ সবগুলোতে রিং রোড নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। কারণ এটা ছাড়া ঢাকার যানজট কমানো কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। অন্যদিকে পদ্মাসেতু চালু হলে এই যানটজ তীব্র আকার ধারণ করবে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজধানীকে ঘিরে এই রিং রোড নির্মাণে কতটা সফল হতে পারবে তা নিয়ে সংশয়। তিনি আরও বলেন, ‘সময়ের কাজ সময়ে না করলে বড়ধরনের জটিলতা হয়। এখন অ্যালাইনমেন্টগুলো করতে গিয়ে যে ফিকশন পাচ্ছে তার জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।

২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে দেশের রাজধানী ঢাকাকে করে তুলতে হবে বাসযোগ্য। আর সেজন্য উন্নত দেশের মতো সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ।