• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বান্দরবানে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন টানেল

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২১  

বান্দরবানে নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন টানেল। বান্দরবানের বর্তমান বাস স্টেশন হয়ে প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় টার্মিনাল হাফেজঘোনায় যাওয়ার পথে পাহাড়ি সড়কে এই টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। টানেলটি বর্তমান বাসস্টেশনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় টার্মিনাল সড়ককে সংযোগ করবে। টানেলের ভেতর দিয়ে বাসসহ অন্যান্য যানবাহন ও লোকজন চলাচল করবে। এটি পর্যটন শহর বান্দরবানের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দেবে। 

জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই টানেলটির নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসে এটি উদ্বোধন করা হবে। এ ছাড়া বর্তমান বান্দরবান বাসস্টেশনের জায়গা কম হওয়ায় পাশেই হাফেজঘোনায় বিশাল এলাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় টার্মিনাল গড়ে তোলা হয়। কিন্তু টার্মিনালে যাওয়ার ওই সড়কের দুই পাশে পাহাড়। আগে ওই সড়কটি নির্মাণ হলেও বৃষ্টি হলেই পাহাড় ধসের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া রাস্তাটির দুপাশে পাহাড় থাকায় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলও ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কেন্দ্রীয় টার্মিনালটি নির্মাণের অনেক বছর পরও সেখানে বাস যায় না। কিন্তু বর্তমান স্টেশনটি খুবই ছোট হওয়ায় এবং দিন দিন বাস বেড়ে যাওয়ায় সেখানে রাখার জায়গা হয় না। ফলে সব সময় যানজট ও ভোগান্তি লেগেই থাকে। এই দুর্ভোগ ও কেন্দ্রীয় টার্মিনাল চালু করার জন্য পাহাড়ি সড়কটিতে টানেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত বলেন, দুই দফায় মোট ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ ফুট দীর্ঘ এই টানেলটি নির্মাণ করা হবে। প্রথম দফায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তখন ৩০০ ফুট দীর্ঘ টানেল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে সংশোধন করে টানেলটি আরও ২০০ ফুট বাড়িয়ে মোট ৫০০ ফুট লম্বা করে আরও ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়।

তিনি আরও বলেন, এই টানেলটি কেবল সড়ক যোগাযোগই নয়, বান্দরবান শহরের সৌন্দর্য বাড়াবে। এ ছাড়া মানুষের দুর্ভোগ কমাবে। 

প্রকৌশলী ইয়াসির আরাফাত জানান, টানেলের নির্মাণ কাজ ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজটি শেষ হলে রাস্তার দুপাশের পাহাড় ধসে সড়কটি আর ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। ফলে টানেল দিয়ে খুব সহজে বাসসহ অন্যান্য যানবাহন ও লোকজন চলাচল করতে পারবে। 

বাসটার্মিনাল এলাকার বাসিন্দা দিদার আলম বলেন, দৃষ্টিনন্দন এ টানেল নির্মাণ শেষ হলে এলাকার গুরুত্ব বাড়বে। কেন্দ্রীয় টার্মিনালটি চালু হলে শহরের প্রবেশমুখের বর্তমান বাসস্টেশনের যানজট থাকবে না। এ ছাড়া এতদিন ওই সংযোগ সড়কটির দুই পাশের পাহাড় ধসে রাস্তা দিয়ে আর যাওয়া যেত না। টানেলটি নির্মাণ হলে এ সমস্যা আর থাকবে না।