• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

৭১ বছরে মোংলা সমুদ্র বন্দর

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২১  

৭১ বছরে পদার্পন করল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা। ৭০ বছর আগে ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে মোংলা বন্দর। একই বছর ১১ ডিসেম্বর পশুর নদীর জয়মনির ঘোলে ‘দি সিটি অব লিয়নস’ নামক প্রথম ব্রিটিশ বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙরের মাধ্যমে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮৭ সালের পোর্ট অব চালনা অথরিটি এ্যাক্ট অনুসারে প্রথমে চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং পরবর্তীকালে মোংলা পোর্ট অথরিটি নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

এদিকে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে সব প্রস্তুতি শেষ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্যোগে শোভাযাত্রা, শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বন্দর কর্তপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মাদ মুসা।

পরে বেলা সাড়ে ১১টায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারসহ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পদস্থ কর্মকর্তা, সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা, বন্দরের পদস্থ কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা, মোংলা প্রেসক্লাব সদস্যরা, সিবিএ নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।  

দুপুর সোয়া ১টায় মোংলা বন্দরের অগ্রগতি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান এবং দেড়টায় মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্যদিয়ে শেষ হবে বন্দরের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা।  

এছাড়াও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা, সর্বোচ্চ বন্দর ব্যবহারকারীদের ক্রেস্ট প্রদান, কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য নির্বাচিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের ক্রেস্ট প্রদান, বিদায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীদের ক্রেস্ট প্রদানসহ নানা কার্যক্রম রয়েছে।

মোংলা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মাদ মুসা বলেন, বন্দরকে আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল বন্দরে রূপান্তরিত করার লক্ষে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। অচল বন্দরকে সচল ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বন্দরে ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আরও উদ্যোগেী এবং সহনশীল হতে হবে। বন্দরের সুনাম রক্ষায় সবার সহযোগিতার আহবান জানান তিনি।