• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

নতুন দুই প্রকল্পে বাড়বে শাহ আমানত বিমানবন্দরের সক্ষমতা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২ জানুয়ারি ২০২২  

১৯৪০ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর। এরপর হাঁটি হাঁটি পা পা করে পাড়ি দিয়েছে আট দশক। দীর্ঘ এ সময়ে টার্মিনাল ভবন, কার্গো কমপ্লেক্স, এয়ারক্রাফট পার্কিং ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক রেডার ও বডি স্ক্যানারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতিতে সাবলম্বী হয়েছে এ বিমানবন্দর। পেয়েছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বীকৃতি।

তবে এখানেই থেমে যায়নি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের অগ্রগতি। আরো দুটি নতুন প্রকল্প- ‘রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে’ এবং ‘বোর্ডিং ব্রিজ ও কানেক্টিং করিডোর নির্মাণ’ নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। দুই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এ বিমানবন্দরের সক্ষমতা আরো বাড়বে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে বর্তমানে পাঁচটি আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চালু রয়েছে। বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের মতে, আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল বাড়ানোর পরিধি নির্ভর করে যাত্রীর চাহিদার ওপর। তবে নতুন দুই প্রকল্পের ফলে বিমান চলাচল আরো সুবিন্যস্ত ও নিরাপদ হবে বলে মনে করছেন তারা।

নতুন দুই প্রকল্পের মধ্যে রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর কাজ শুরু হয় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি। ৫৪০ কোটি ৫২ লাখ এক হাজার টাকা ব্যয়ে চলমান এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এটির ফলে বিমানবন্দরের রানওয়ে লাইটিং সিস্টেমের উন্নয়ন ও আরো কম ভিজিবিলিটিতে বিমান অবতরণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে, ২০০১ সালে এ বিমানবন্দরে দুটি বোর্ডিং ব্রিজ স্থাপন করা হয়েছিল। এখন আরো একটি নতুন বোর্ডিং ব্রিজ স্থাপনের পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। শিগগিরই এটির টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে। পাশাপাশি কানেক্টিং করিডোর ও প্যারালাল ট্যাক্সিওয়ে সম্প্রসারণে কনসালটেন্সি ফার্ম নিয়োগের কথা রয়েছে। ট্রাফিক পেটার্ন, ট্রাফিক নম্বর, জায়গার পরিমাণ সবকিছু বিবেচনা করে কনসালটেন্সি ফার্মের পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করা হবে বলে বলছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে সরকারি ও বেসরকারি বিমান চলাচলকে আরো সুবিন্যস্ত ও নিরাপদ করার পরিকল্পনা রয়েছে। রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের প্রকল্পের কাজ ৫০ শতাংশ শেষ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, যাত্রীদের জন্য নতুন বোর্ডিং ব্রিজ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর পাশাপাশি কানেক্টিং করিডোর নির্মাণ ও প্যারালাল ট্যাক্সিওয়ে সম্প্রসারণের জন্য কনসালটেন্সি ফার্ম নিয়োগের পরিকল্পনাও রয়েছে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে বিমানবন্দর আরো বেশি শক্তিশালী হবে। সিভিল এভিয়েশনে নতুন জনবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে আমাদের কাজে আরো গতিশীলতা আসবে।