• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বিআরটির উড়াল সড়ক, টঙ্গী সেতুর একাংশ খুলবে ৬ নভেম্বর

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২২  

দুর্ভোগের অপর নামে পরিণত হওয়া বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উত্তরা থেকে টঙ্গী রেলগেট উড়াল সড়ক (ফ্লাইওভার) এবং মাঝের টঙ্গী সেতুর একাংশ আগামী ৬ নভেম্বর যান চলাচলের খুলে দেওয়া হবে। ওই দিন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রকল্প পরিদর্শনের পর যান চলাচল শুরু হবে।

২০ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ বিআরটি লেনের সাড়ে চার কিলোমিটার থাকবে উড়াল সড়কে। বাকি ১৬ কিলোমিটার বিআরটি লেন মাটির সমতলে নির্মিত হচ্ছে। মাঝে রয়েছে ১৭৫ মিটার দীর্ঘ ১০ লেনের টঙ্গী সেতু। সেতু ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

এ অংশের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মহিরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, উত্তরা থেকে টঙ্গী রেলগেট পর্যন্ত উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য দুই দশমিক দুই কিলোমিটার। এর দুই লেন আগামী ৬ নভেম্বর সড়ক পরিবহনমন্ত্রী যান চলাচলের খুলে দেবেন। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।

পিডি জানিয়েছেন, ফ্লাইওভার ও সেতুর দুই লেন যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের মতামত পাওয়া গেছে। যানজটের দুর্ভোগ কমবে। দুই মহানগরের পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করবে।

বাসের জন্য বিশেষায়িত লেন তথা বিআরটি প্রকল্পটি ২০১২ সালে সরকারের অনুমোদন পায়। এ পদ্ধতিতে সড়কের মাঝে দুই লেনে চলবে শুধু বিশেষায়িত বাস। ২০১৬ সালে বিআরটি চালুর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। নির্মাণ কাজের কারণে চার বছর চরম দুর্ভোগ চলছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরা থেকে জয়দেবপুর অংশে।

গত সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিতে ডুবে যায় নির্মাণ এলাকা। সোয়াশ কোটি টাকায় নির্মিত ড্রেনে পানি সরেনি। সড়কে বিশাল খানাখন্দ ও জলবদ্ধতায় টানা তিনদিন দীর্ঘ যানজট হয় উত্তরা থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা সড়কে। ১২ কিলোমিটার পথ যেতে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লাগে। পরিস্থিতি এতটাই নাজুক ছিল, এই সড়ক এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেয় পুলিশ।

ফ্লাইওভার ছয় লেনের। মাঝের দুইলেনে চলবে বিআরটির বাস। ৬ নভেম্বর থেকে চালু হতে যাওয়া ফ্লাইওভার ও সেতুর দুই লেন টঙ্গী থেকে ঢাকামুখী যানবাহন ব্যবহার করবে। টঙ্গী সেতুর ঢাকামুখী পুরনো সেতু অপসারণ এবং সেখানে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ঢাকা থেকে টঙ্গীমুখী যানবাহনকে পুরনো সেতু ব্যবহার করতে হবে। ফলে দুর্ভোগ কতটা কমবে- তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল পুলিশের।