• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

রিং রোডে বদলাবে চাক্তাই-কালুরঘাট

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৩  

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতীরে নির্মাণ হচ্ছে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩০ ফুট উচ্চতার রিং রোড। শেষ পর্যায়ে রয়েছে এ প্রকল্পের কাজ। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শহরকেন্দ্রিক যানজট নিরসন হবে। পাশাপাশি নদী ঘিরে তৈরি হবে নতুন পর্যটন স্পট। শহর ও উপকূলীয় বাঁধের মধ্যস্থিত এলাকাগুলো উন্নয়নের মাধ্যমে আবাসন, বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্প উৎসাহিত হবে। চীনের সাংহাইয়ের আদলে এ সড়কটি নির্মাণ হচ্ছে। চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুক্ত হবে ভিন্ন এক পালক।  

জানা যায়, ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্পটি ২০১৭ সালে গ্রহণ করা হয়। এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ২৭৫ কোটি ৫২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। তবে নানা জটিলতায় প্রকল্পটি তিনবার সংশোধন করা হয়েছে।

পরে এর ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয় ২ হাজার ৩১০ কোটি ২৪ লাখ ২০ টাকা। সবশেষে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির শতভাগ কাজ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন  বলেন, এ প্রকল্প শহরের ওপর যানবাহনের চাপ সামাল দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সড়কটি ঘিরে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন স্পট তৈরি হবে। এতে দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। প্রকল্প পরিচালক ও চউকের নির্বাহী প্রকৌশলী রাজিব দাশ বলেন, প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ সড়কটিতে বহুমুখী উপকারিতা আসবে। নগর রক্ষাবাঁধ, যানজট নিরসন ও বিনোদন স্পট হবে। জানা যায়, এ প্রকল্পের জন্য ৪৭ দশমিক ৫৮ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ জায়গার মধ্যে ১ দশমিক ৯৩ লাখ বর্গমিটার রোড পেভমেন্ট ও ১ হাজার ৪৭০ বর্গমিটার রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণ হবে। ছয়টি বাস-বে, তিনটি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ হবে। থাকবে পাম্প হাউস, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, এলইডি স্ট্রিট লাইট ও পানির পাম্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস থেকে নগরের চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বক্সিরহাট, বাকলিয়া, চান্দগাঁও ও কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষা পাবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে যাতায়াত সুবিধা বাড়বে এবং শহরাংশের যানজট নিরসন হবে। পাশাপাশি নগর ও উপকূলীয় বাঁধের মধ্যবর্তী এলাকায় এ প্রকল্প ঘিরে নতুন আবাসন, বাণিজ্য ও পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে।