• বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৩ ১৪৩০

  • || ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

দুর্গম পাহাড়ে ‘সীমান্ত সড়ক’ নির্মাণে অসাধ্যকে সাধন করছে তারা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৩  

এক হাজার ৩৬ কিলোমিটার সড়ক। তা-ও আবার দেশের পার্বত্য তিন জেলার সীমান্ত পাহাড়ে। সমতলে যত সহজে শ্রমিক এবং নির্মাণসামগ্রী পাওয়া যায়, তত সহজে পাহাড়ে এসব উপকরণ পাওয়া যায় না। সব মিলিয়ে বলা যায় এক অসাধ্য সাধন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

দুর্গম পাহাড়ে সড়ক নির্মাণ। নাম তার 'সীমান্ত সড়ক'। সমতলে একটি ইটের দাম ৯ টাকা, একটি ইট ৯ টাকা দিয়ে কিনে সেটি পাহাড়ি পথ বেয়ে সীমান্তের কাছাকাছি আনতে খরচ বেড়ে দাঁড়ায় অন্তত ৩ থেকে ৪ গুণ। একইভাবে সড়ক তৈরির সব উপকরণ তো বটেই, নির্মাণশ্রমিক পেতেও বেগ পেতে হয় দুর্গম পাহাড়ে।

রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার শেষ প্রান্তে দুর্গম পাহাড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে সীমান্ত সড়কটি। যার ব্যাপ্তি রামগড় থেকে টেকনাফ। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে এই সড়ক লাগোয়া বেশ কিছু সংযোগ সড়কও। ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার সড়কটি নির্মিত হচ্ছে তিনটি ধাপে। প্রথম পর্যায়ে ৩১৭ কিলোমিটারের মধ্যে এরই মধ্যে দৃশ্যমান ১৭৩ কিলোমিটার। আগামী বছরের মধ্যেই ৩১৭ কিলোমিটার সড়ক দৃশ্যমান হবে।
 
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মুস্তাফা নাহিয়ান রশীদ বলেন, ‘সড়ক নির্মাণের সামগ্রীগুলো পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে, এর দামও বেড়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে এখানে যেসব নির্মাণশ্রমিক রয়েছেন, তাদের পাওয়াটা দুগম পাহাড় হওয়ায় কঠিন হয়ে পড়ে।’
 
এরপর ধীরে ধীরে রূপ দেয়া হচ্ছে সড়কের। কর্মকর্তাদের আশা, ২০২৮ সালের মধ্যে বাকি ৭১৯ কিলোমিটার সড়ক যান চলাচলের উপযোগী হবে।
 
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল ভূঞা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘বাকি যে রাস্তা রয়েছে, ২০২৮ সালে শেষ হবে বলে আমি মনে করি। ২০১৮ সালে কাজটি শুরু হয়েছে। আমাদের দ্বিতীয় পর্যায়ে পিপি প্রস্তুত হচ্ছে, এটি যদি অনুমোদিত হয়ে যায় প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হতে হতেই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করতে পারব।’
 
গহিন অরণ্যে জীবজন্তু আর সাপের ভয় ছাড়াও আছে পদে পদে বিপদ। সুপেয় পানির সংকট, ভূমিধসের ঝুঁকি। নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের উপায় একমাত্র ইন্টারনেট। সেটি পাওয়া যায় কেবল কাজ শেষে আর্মি ক্যাম্পে ফেরার পর। অসুস্থ হলে দ্রুত শহরে নেয়ারও উপায় নেই। এসব ঝুঁকি আর বিপদ মোকাবিলা করেই দেশের জন্য কাজ করছেন নির্ভীক সৈনিকরা।