• শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩০

  • || ০৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দ্বার খুলল

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বর্তমান সরকারের অন্যতম মেগা প্রকল্প ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এর মাধ্যমে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্মোচিত হতে যাচ্ছে নতুন এক দিগন্তের। এখন শুধু অপেক্ষা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টায় কাওলা প্রান্তরে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করবেন ও মোনাজাতে অংশ নেবেন। তার পরের দিন রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে যানচলাচল শুরু হবে।

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দূরত্বের এই এক্সপ্রেসওয়ের আপাতত প্রথম অংশ কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যানচলাচল করবে।

 

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (ছবি: ফোকাস বাংলা)

ইতোমধ্যে বিমানবন্দর কাওলা এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। উড়াল সড়কে উড়ছে রঙিন পতাকা। নিচের সড়কের পাশে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ব্যানার। ঘসা-মাজার কাজ শেষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে ঘিরে উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন যানচালকদের মাঝে। কয়েকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, রাজধানীতে যানজটের যে চিরচেনা রুপ তা ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টায়। এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হলে উত্তর দক্ষিণের দূরত্ব ঘুছিয়ে এক সহজ যোগসূত্র তৈরি হবে বলে আশা তাদের।

কাওলার স্থানীয় বাসিন্দা মো. আমিন বলেন, বিমানবন্দর সড়কটি ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ। দেশের বাইরে থেকে বিদেশিরাসহ আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা আসেন এই বিমানবন্দরে। এখান থেকে যদি তারা কোনও ঝুটঝামেলা ছাড়াই নিজ নিজ গন্তব্যে সহজে চলে যেতে পারেন, তাহলে বিদেশিদের চোখে আমাদের দেশ নিয়ে যেমন ভালো ধারণা হবে, আবার রেমিট্যান্স যোদ্ধারাও শান্তি পাবেন যে তাদের দেশে পাঠানো কষ্টের টাকায় দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।

372271574_609181848077183_7997454284304437893_n-a2d548274725447320211a241382fba6

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা উজ্জ্বল হাসান বলেন, এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অবশ্যই আমাদের জন্য একটা স্বস্তি নিয়ে আসবে বলে আশা করি। ব্যক্তিগত গাড়িগুলো ওপর দিয়ে চলে গেলে নিচের রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা হবে। তখন সাধারণ যারা আছে তারা খুব অল্প সময়েই এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে পারবে। এখন শুধু আমাদের বাস সার্ভিস গুলো ভালো করলেই আমরা খুশি হবো।

দূরত্ব কমবে, ভাড়াও কমবে এমনটা মন্তব্য করে রিয়াজুর ইসলাম নামে উবার চালক বলেন, রাস্তায় জ্যাম থাকলে ভাড়া বেশি দেখায়। আবার ভাড়া ঠিক করে গেলেও জ্যামের কারণে সব জায়গায় সব সময় যাওয়ার ইচ্ছা হয় না। এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে তখন জ্যাম থাকবে না, একটানে গেলে সময়ও কম লাগবে, তেলও কম খরচ হবে। তখন ভাড়া কিছু কম নিলেও সমস্যা নাই। তবে ওপরের টোলটা যদি যাত্রী-চালক উভয়ের দিক দিয়ে অর্ধেক করে দেওয়া হয় তাহলে আমি মনে করি ভালো হবে।