• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

দেশে চায়ের উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২২  

অনুকূল পরিবেশ, সরকারি প্রণোদনা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও চা বোর্ডের নিয়মিত মনিটরিংয়ে ২০২১ সালে দেশের চায়ের উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার কেজি চা। এমন বাম্পার ফলনে অনেকেই খুশি হলেও নিলাম বাজারে সঠিক দাম না পাওয়ায় হতাশ সংশ্লিষ্টরা।

করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের সবকটি চা-বাগানের কার্যক্রম ছিল স্বাভাবিক। পাশাপাশি সরকার বাগান মালিকদের আর্থিক প্রণোদনাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও চা-বোর্ড প্রতিটি চা-বাগানে উৎপাদন বাড়াতে সক্রিয়ভাবে মনিটরিং করে। আর আবহাওয়া চা-চাষের পুরোপুরি অনুকূলে থাকায় বছর শেষে দেশে চায়ের বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। চা বোর্ড জানায়, অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২০২১ সালে ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে।

২০১৯ সালে চা উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ কেজি, ২০২০ সালে ৮ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার কেজি এবং ২০২১ সালে ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার কেজি।

আশাতীত উৎপাদন ও চা পানে অভ্যাস প্রীতির ফলে এটিকে জাতীয় পানীয় হিসাবে ঘোষণায় সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান জি এম শিবলী।

তিনি বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি রাখতে চাই যে, চা টাকে যদি জাতীয় পানীয় হিসেবে ঘোষণা করা হয় তাহলে এই চায়ের সম্মান ও চায়ের প্রসার এ দেশে বৃদ্ধি পাবে।

চায়ের উৎপাদনে সরকার অধিক রাজস্ব পেলেও নিলাম বাজারে চায়ের ক্রমাগত দাম পড়ে আসাতে চিন্তিত সংশ্লিষ্টরা।

মৌলভীবাজার মৌলভী চা বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক মো. নাদিম খান বলেন, এই উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে সরকারও অনেক রাজস্ব পাবে। রাজস্বের ব্যাপারে এই উৎপাদন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তবে দুঃখের বিষয় নিলাম বাজারে চায়ের আশানুরূপ মূল্য না পাওয়ায় মালিকপক্ষ অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, ২০২১ সালে দেশের ১৬৭টি চা-বাগানে ৭ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে বাড়তি উৎপাদন হয়েছে এক কোটি ৮৭ লাখ ২৬ হাজার কেজি।