• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

প্রথমবারের মতো ভারতীয় ট্রায়াল জাহাজ এলো মোংলা বন্দরে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২২  

প্রথমবারের মতো ভারতীয় ট্রান্সশিপমেন্টের ট্রায়াল রানের (পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহন) জাহাজ মোংলা সমুদ্র বন্দরে এসে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের মোংলা বন্দর ব্যবহার বিষয়ক চুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে জাহাজটি মোংলায় এসেছে। সোমবার (০৮ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি রিশাদ রাইহান বন্দরের ০৯ নম্বর জেটিতে নোঙর করে জাহাজটি।

এসময় মোংলা বন্দর জেটি পরিদর্শন করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জেটি পরিদর্শন শেষে মোংলা বন্দর সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে জেএসি শিপিং এবং সিঅ্যান্ডএফ হিসেবে সুইফট লজিস্টিক সার্ভিসেস লিমিটেড কাজ করছে।

মোংলা বন্দর সূত্রে জানা যায়, মোংলা-তামাবিল এবং মোংলা-বিবিরবাজার (কুমিল্লার স্থলবন্দর) রুটে ট্রায়ালের জন্য ট্রানজিট কার্গোটি বর্তমানে মোংলা বন্দরে অবস্থান করেছে। ACMP (Agreement on The Use of Chattogram and Mongla Port for Movement of Goods to and from India) চু্ক্তির আওতায় বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ট্রায়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মার্কস লাইনের ০২টি কন্টেইনারের মধ্যে ০১টি কন্টেইনারে ইলেক্ট্রোস্টিল কাস্টিংস লিমিটেডের ৭০ প্যাকেজে ১৬.৩৮০ টন লোহার পাইপ এবং বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর সীমান্ত পয়েন্ট ব্যবহার করে আসামের জন্য ও আরেকটি কনটেইনারে ২৪৯ প্যাকেজে ৮.৫ টন প্রিফোম নিয়ে জাহাজটি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আজ একটি মাইলফলক সৃষ্টি হলো। আশা করছি, এর ফলে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটে অভ্যন্তরীণ জলপথ ব্যবহার করে ব্যবসায়িক গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যা দু’দেশের অর্থনীতি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ভারত থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য মোংলা বন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০২২ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত ১৩তম ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অফ কাস্টমস (জেএসসি) বৈঠকের পর ট্রায়াল রান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।