• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় কমেছে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২২  

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে মোট ১৯৭ কোটি ৬ লাখ (১.৯৭ বিলিয়ন) ডলারের ঋণ-অনুদান পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ এই পরিমাণ অর্থ ছাড় হয়েছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫ শতাংশ কম। ২০২১-২২ অর্থবছরের এই চার মাসে ২৬২ কোটি ৬২ লাখ (২.৬২ বিলিয়ন) ডলারের ছাড় করেছিল উন্নয়ন সহযোগীরা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ইআরডির তথ্যে দেখা যায়, জুলাই-অক্টোবর সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ ও অনুদান মিলিয়ে ১৯৭ কোটি ৬ লাখ ডলার ছাড় হয়েছে, তার মধ্যে প্রকল্পে ঋণ এসেছে ১৮৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার এবং অনুদান এসেছে ৯ কোটি ২৮ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে প্রকল্পে ঋণ এসেছিল ২৫৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। সেই সঙ্গে অনুদান এসেছিল সাড়ে ৭ কোটি ডলার।

তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থ ছাড় করেছে জাপান, ৫৮ কোটি ৭ লাখ ডলার। চীনের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ৪৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) দিয়েছে ২৪ কোটি ৭ লাখ ডলার। বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৩৬ কোটি ৫২ লাখ ডলার। ভারত ১১ কোটি ৯১ লাখ ডলার। এ ছাড়া রাশিয়ার কাছ থেকে পাওয়া গেছে ৮ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার ডলার। এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) ছাড় করেছে ৭৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। তথ্যে দেখা যায়, জুলাই-অক্টোবর সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের নতুন প্রতিশ্রুতি তুলনামূলক কম এসেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের এই চার মাসে ২৭৬ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ-সহায়তার প্রতিশ্রুতি এসেছিল।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর নতুন প্রকল্পে অর্থায়ন প্রতিশ্রুতি এসেছে মাত্র ৪১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের। ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, গত বছর করোনার প্রভাবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি ছিল। তাছাড়া অর্থবছরের শুরুতে এমনিতেই এডিপি বাস্তবায়ন গতি কম থাকে। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বৃদ্ধি পেলে বৈদেশিক ঋণের ছাড়ও বৃদ্ধি পাবে। জুলাই-অক্টোবর সময়ে আগে নেওয়া ঋণের আসল ও সুদ বাবদ ৭২ কোটি ৪২ লাখ ৭০ হাজার ডলার পরিশোধ করেছে সরকার। গত বছরের একই সময়ে সুদ-আসল বাবদ ৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ডলার শোধ করা হয়েছিল।